নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জেলার বিচারিক হাকিম নূর নাহার ইয়াসমিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশ দেন। এর আগে দুপুরে ফতুল্লা থানার কাশিপুরের হাটখোলা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইমরান হোসেন। তার বাড়ি কাশিপুরের হাটখোলা এলাকায়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরির্দশক মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ইমরান ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবনাবন্দি দিয়েছেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। তিনি চরকাশিপুর ব্রিজের সামনে পৌঁছালে সেখানে তার পথ আটকে নানা প্রশ্ন করেন ইমরান। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ ইমরানের মোবাইল দিয়ে তার স্বামীকে জানান তিনি চরকাশিপুর ব্রিজের সামনে আছেন।
পরে ওই নারীর স্বামী ব্রিজের সামনে গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। রাত ১০টায় তাকে একটি নম্বর থেকে ওই নারীর স্বামীকে কল করে জানানো হয় তার স্ত্রীকে ট্রলারে তুলে দেয়া হয়েছে। এরপর বুড়িগঙ্গা নদীর শাখা নদীর ঘাটে গিয়ে ওই নারীকে খুঁজে পান তিনি। ওই নারী তার স্বামীকে জানান, ইমরান ও তার তিন সহযোগী মিলে তাকে ধর্ষণ করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা করেন তার স্বামী। দুপুরের দিকে মামলার প্রধান আসামি ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
ওই গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।