বঙ্গবন্ধু সেতুতে নতুন তালিকা অনুযায়ী টোল আদায় শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এ বর্ধিত টোল আদায় শুরু হয়।
গত ২ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সেতু বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সেতুর টোলের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১২ সালে এই সেতুর টোল বাড়ানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবীর পাভেল নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে নতুন তালিকা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নতুন টোলের হারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলের নতুন টোল হবে ৫০ টাকা, যা ছিল ৪০ টাকা। কার ও জিপের বর্তমান টোল ৫০০ টাকার পরিবর্তে হবে ৫৫০ টাকা। ছোট বাসের ক্ষেত্রে টোল ৬৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
‘বড় বাসের টোল ৯০০ টাকার পরিবর্তে হবে ১ হাজার টাকা। ছোট ট্রাকের টোল ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। মাঝারি ট্রাকের (৫-৮ টন) টোল ১ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে হবে ১ হাজার ২৫০ টাকা। ৮-১১ টনের ট্রাকের টোল ১ হাজার ৪০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬০০ টাকা করা হয়েছে। বড় ট্রাক ও ট্রেইলরের টোল ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
টোল বাড়ানো নিয়ে অবশ্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক নব কুমার কর্মকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে আমরাই সবচেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাচ্ছি। সেতু নির্মাণের সময় দেশের মানুষ সবকিছুতে ট্যাক্স বেশি দিয়েছিল। সেতুতে টোল আদায়ের মাধ্যমে অনেক আগেই টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে।
‘এখন তো টোলের হার কমানোর কথা সরকারের, কিন্তু সরকার তা না করে দফায় দফায় সেতুর টোল বৃদ্ধি করছে। কদিন আগে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সেতুতে টোল বৃদ্ধি হলে আবারও প্রভাব পড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর। তাই সেতুর টোল বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নেবার নয়।’