হঠাৎ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মীরা জটলা বেঁধে অবস্থান নেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক আমিন ভূঁইয়া এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদারের কার্যালয়ের সামনে।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে ডিএসই কর্মীদের ছুটিসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা। সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কর্মীদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা না দেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন, এমন বার্তা যায় কর্মীদের কাছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার এমডি ও সিওওর কক্ষের সামনে অবস্থান করেন বঞ্চিতরা।
ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তা জানান, কে বা কারা ছড়িয়েছে, তাদের ইনক্রিমেন্ট দেয়া হবে না, ছুটি বাতিল করা হবে। এমন খবর শুনে তারা তাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এর সঙ্গে আলোচনা হয়, ডিএসই কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়ে।
সে সভায় ডিএসইর এমডি ও সিওও তাদের প্রভাব খাটিয়ে কর্মীদের প্রাপ্ত সুবিধা না দেয়ার কথা বলেছেন, এমন বার্তা পৌঁছে সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে। আর এতে তৈরি হয় অসন্তোষ।
ডিএসইর এমডি তারেক আমিন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেভাবে বিষয়টিকে উপস্থান করা হচ্ছে তেমন কিছু হয়নি। যারা এসেছিল তারা মনে করেছিল, সভায় তাদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেয়া হয়েছে বা হতে দেয়া হচ্ছে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল বার্তা ছিল।
‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি, এমন কিছু আলোচনা হয়নি।‘
তিনি বলেন, ‘যারা মনে করছে তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে, সেটির উল্টোটাও হতে পারে। বরং তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ আছে।’
সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ডিএসইর কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন-পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে আমাদের বেতন-ভাতাদি, সার্ভিস রুল, অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দফায় দফায় কমানো হয়েছে, যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৮(ছ) ধারার ব্যত্যয়।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কয়েক দফা বৃদ্ধি করেছেন, সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বিভিন্ন সময়ে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বদলে বন্ধ করে দিয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে।