চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় দফায় বৃহস্পতিবার সকালে ৬ হাজার ৭৫২ শ্রমিককে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান শ্রমিকদের হাতে এ অর্থ তুলে দেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় শ্রমিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়েছেন বলেই চট্টগ্রাম বন্দর এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি। দেশের অর্থনীতি পুরোদমে সচল রাখতে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শ্রমিকরা কাজ করেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলেও শ্রমিকদের আর্থিক সঙ্গতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা আবারও প্রণোদনা দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে একাগ্রচিত্তে কাজ করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের পর্ষদ সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, সচিব ওমর ফারুক ও চিফ পারসোনেল অফিসার নাছির উদ্দিন এবং অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত বছরের জুলাইয়ে প্রথম দফায় প্রত্যেক শ্রমিককে ১১ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় চলতি বছরের মে মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকাসহ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রম তহবিল থেকে এই অর্থ দেয়া হয়।