বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিছুদিনের মধ্যে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারব: রেজা

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:২৫

‘এই সরকারের ভবিষ্যতে কী হবে, কী পরিণতি হবে, এটা আমরা আন্দাজ করতে পারি। দুনিয়াতে এমন অনেক সরকার ছিল। কিন্তু একসময় না একসময় তাদের সরে যেতে হয়েছে। আমরা আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারব, ইনশাল্লাহ। এই অত্যাচারী সরকারকে আমরা ইতিহাসের একটা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিতে পারব।’

২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে কিছুদিনের মধ্যে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।

টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর মাজারে হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

গত জাতীয় নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দিয়ে আলোচনায় আসা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া সম্প্রতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে নিয়ে এই দলের জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আমরা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারব।’

আগের দিন টাঙ্গাইলে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হামলা এটা প্রমাণ করে যে আমাদের দলকে সরকার ভয় পায়। কারণ আমরা জোর গলায় অনেক কিছু বলি। কিন্তু অনেকে বিভিন্ন কারণে যেগুলো বলতে চায় না।’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা নিবির পাল ও মানিক শীলের নেতৃত্বে বুধবার গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা পেয়েছি। যখন কিছু পুলিশের সদস্য আমাদের সহায়তা করছে, তখন তাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপরও হামলা করেছে।

‘ছাত্রলীগের যে ছেলেরা পুলিশের ওপর যারা আঘাত করেছে, এটার ভিডিও আছে। মানিক শীল ও নিবির পালকে এলাকার মানুষ অনেকেই চেনে। তারা জড়িত ছিল। তারা ২০১৫ সালে একটি মার্ডার কেসেও জড়িত।’

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে একটি মিছিল নিয়ে ফুল দেয়া আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আসলে আমাদের বড় মিছিল দেখে হয়তো আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত। কারণ, তাদের কাছে তো টাকা না নিয়ে কেউ যায় না।’

সরকারকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের ভবিষ্যতে কী হবে, কী পরিণতি হবে, এটা আমরা আন্দাজ করতে পারি। দুনিয়াতে এমন অনেক সরকার ছিল। কিন্তু একসময় না একসময় তাদের সরে যেতে হয়েছে।

‘আমরা আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারব, ইনশাল্লাহ। এই অত্যাচারী সরকারকে আমরা ইতিহাসের একটা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিতে পারব।’

সংবাদ সম্মেলনে দলটির সদস্যসচিব নুরুল হক নূর বলেন, তাদের কারণে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের একাধিপত্য কমে আসছে। ডাকসু নির্বাচনের পর তাদের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবস্থান করছে। ছাত্রদলও তাদের উত্থানের পরে ক্যাম্পাসগুলোতে কার্যক্রম চালাতে পারছে। এ কারণে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে।

নূর বলেন, ‘বিএনপিকে তো সরকার নানাভাবে নাজেহাল করে রেখেছে। সরকার তাদের নানাভাবে চাপে রাখছে এবং গলায় রশি পরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এখনও কোনো চাপে ফেলতে পারেনি। সরকার দেখছে যে সবাই মোটামুটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আমরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যে কারণে এখন আমাদের প্রধানতম টার্গেট করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নূর জানান, তারা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই বুধবার টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর মাজারে ফুল দিতে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। মওলানা ভাসানীর জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে ওখানকার (টাঙ্গাইল) লোকাল প্রশাসন একটি নিরাপত্তা তৈরি করে। আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দল ওখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এমন দিবসে গেলে তো নতুন করে নিরাপত্তার আবেদন করব না।

কেন প্রশাসনের অনুমতি নিলেন না, জানতে চাইলে নূর বলেন, ‘এটা তো একটা ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ছিল। যে কারণে আমরা জানাইনি।’

হামলার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করেননি বলে জানান নূর। বলেন, ‘মামলা করলে আমাদের নেতা-কর্মীদের জড়াবে। কিংবা ওদের নামে একটা মামলা করলে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩টা মামলা করবে। এ জন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারব বলে মনে হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর