বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খুশির দিন

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:০৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ এই রেজুলেশন গৃহীত হবার একটি রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ বিষয়ে আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আশা করি আগামীতে আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়াতে পারব।’

রাশিয়া ও চীন আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অসহযোগিতা করলেও এখন তারা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হবার সময় এই দুই দেশের প্রতিনিধিদের নীরবতা এটা প্রমাণ করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, আমাদের কূটনীতির ধারাবাহিক চেষ্টায় এটা সফল হয়েছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের ও খুশির বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে এই প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। রাশিয়া-চীন আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাধা দিতো। তবে তারা এবার চুপ ছিল। তারাও এই সমস্যা দূর করতে চায়। রাশিয়ার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে, চীনের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। সব দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

‘জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ এই রেজুলেশন গৃহীত হবার একটি রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।’

তিনি বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ বিষয়ে আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আশা করি আগামীতে আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়াতে পারব।’

রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারের ঘনিষ্ট মিত্র উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘এই দুই শক্তিধর দেশ আগে এ ইস্যুতে বারবার বাধা দিত। এখন তারা চুপ করে আছে। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে তারাও আঞ্চলিক এ সমস্যা দূর করতে চাইছে। তারাও রোহিঙ্গা ফেরাতে একযোগে কাজ করতে চায়। সব দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য খুবই খুশির খবর। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি গ্রহণ করা হয়। রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি সইকে স্বাগত জানায়।’

‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

মোমেন বলেন, ‘আমাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। আমাদের অনেক দিনের চেষ্টার পর এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা খুব খুশি। এই রেজুলেশন পাস হওয়ায় রাজনৈতিক একটা উপকার পাওয়া যাবে।’

জাতিসংঘে পাস হওয়া রোহিঙ্গা রেজুলেশন নিরাপত্তা পরিষদে পাস করতে ভূমিকা রাখবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘সিকিউরিটি কাউন্সিলে রেজুলেশন পাস করাটা খুব জরুরি। সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাস করোনোর ক্ষেত্রে এটা আসলে বেশি ভূমিকা রাখবে না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন পাস হয় সিকিউরিটি কাউন্সিলের আগ্রহে। পাঁচ সদস্য এক না হলে এটা হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর