বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরু মোটা করার অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকছে মানবশরীরে

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:২৩

‘এই গরুর মাংস আমরা খাচ্ছি খাই। এ কারণে অনেক সময় আমাদের দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই গরু মোটাতাজাকরণের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

গরু মোটাতাজা করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জানিয়েছেন, মাংস খাওয়ার কারণে সেসব অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের শরীরে ঢুকছে। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার এটিও একটি কারণ।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহের আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি অনলাইনে ড্র্যাগ লাইসেন্স নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখন থেকে অনলাইনে ও অফলাইনে দুভাবেই ফার্মেসিগুলো ড্রাগের লাইসেন্সর নিবন্ধন করতে পারবে।

অ্যান্টিবায়োটিক সেবন নিয়ে সচেতনতার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী গরু মোটা করতে এর ব্যবহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এই গরুর মাংস আমরা খাচ্ছি খাই। এ কারণে অনেক সময় আমাদের দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই গরু মোটাতাজাকরণের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কেন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, সে বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেছেন, এগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।

‘শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। কোনো রোগী অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সম্পূর্ণ ডোজ খেতে হবে। তা না হলে এটি কাজ করে না।’

রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও বিতরণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।

ফার্মেসির কর্মীদের মন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করবেন না। যদি এটা করে থাকেন, তাহলে জেল ও জরিমানা করা হবে। এ বিষয়ে ওষুধ নীতি তৈরি করে ইতোমধ্যে কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছে। এটি জাতীয় সংসদে অনুমোদন হলে এই আইন অনুযায়ী সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।’

এ সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বেশ কিছুদিন ধরে। সংক্রমণের হার এখন ১ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। আমরা এটা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে চাই।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক মাহবুবুর রহমান।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খোরশেদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর