করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা।
কুষ্টিয়া জেলায় তিন দিনের ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার সকালে। তবে অনুমতি না পাওয়ায় বিকেলে মুসল্লিদের সরিয়ে দেয়া শুরু করে পুলিশ।
আয়োজক কমিটি জানায়, অনুমতি না থাকায় বুধবার রাতে পুলিশ গিয়ে ইজতেমা বন্ধ করতে বলে। এরপরও তারা নানাভাবে অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হওয়ায় বিকেলে ইজতেমা বন্ধ করে দিয়ে অবস্থানকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যেহেতু অনুমতি নেই, তাই মুসল্লি ভাইদের বুঝিয়ে মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
এর আগে মিরপুর উপজেলার মশান এলাকায় মহাসড়কের পাশে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত করা হয়। বাঁশ-খুঁটি দিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে বসার ব্যবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাঠে মুসল্লিরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাদের সংখ্যা।
দুপুরে আয়োজক কমিটির প্রধান আতিকুর রহমান জানান, আসরের নামাজের পর ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে তাবলীগ জামায়াতের জেলায় জেলায় ইজতেমা করার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে অনুমতি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে অনুমতির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই প্রশাসন সব বন্ধ করে দিল। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হওয়ার কথা ছিল।’
তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় ইসলাম নিয়ে বয়ান করার জন্য দেশ-বিদেশের অনেক আলেম উপস্থিত হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাদের বলেন, ‘যেকোনো জমায়েতের জন্যই প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন হয়। করোনা মহামারির ভয়াবহতা কমলেও সরকার এখনও গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। এ কারণেই ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয়নি।’