বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মোস্তাকিমের পাশে আরএমপি

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৪২

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরএমপি কমিশনার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্য অর্জনে মোস্তাকিমের মতো তরুণ মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই তাদের মতো মেধাবীদের মেধা বিকাশে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।’

কাঠমিস্ত্রীর কাজের ফাঁকে পড়াশোনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে প্রথম হওয়া মোস্তাকিম আলীকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।

আরএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

মোস্তাকিম আলী রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাঁধাইড় মিশনপাড়া গ্রামের সামাউন আলীর ছেলে।

অনুষ্ঠানে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক শিক্ষার্থী মোস্তাকিম আলীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। সেই সঙ্গে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য আর্থিক সহায়তাও দেন তিনি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরএমপি কমিশনার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্য অর্জনে মোস্তাকিমের মতো তরুণ মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই তাদের মতো মেধাবীদের মেধা বিকাশে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।’

যে কোন মেধাবীর প্রয়োজনে আরএমপি সব সময় পাশে থাকবে বলেও জনান তিনি।

পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে মোস্তাকিম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার আমার মতো ছেলেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এনে সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। এই সংবর্ধনা আমাকে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

ভবিষ্যতে তার পাশে থাকার কথা ব্যক্ত করায় পুলিশ কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

পরিবারে অভাবের সঙ্গে মোস্তাকিমের লড়াই প্রতিদিনের। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই কাঠমিস্ত্রি বাবার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। সব বাধা পেরিয়ে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন মুস্তাকিম।

মোস্তাকিম আলীর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাঁধাইড় মিশনপাড়া গ্রামে। ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি।

১১ অক্টোবর মধ্যরাতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই আনন্দের বন্যা বইছে তার পরিবারে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাকে।

দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় মোস্তাকিম। অভাবের সংসারে মেজ ভাই আজিজুল হককে পড়াতে পারেন নি বাবা। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাবার সঙ্গে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। ছোট বোন ফাহিমা খাতুন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মোস্তাকিম বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোনো কোচিং বা স্পেশাল প্রাইভেট পড়িনি। তবে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। অনলাইনে কিছু ভর্তি প্রস্তুতির লেকচার পেয়েছি। সেগুলো অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর