বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খালেদাকে কোন আইনে বিদেশে পাঠানো যায়, বিএনপি দেখাক’

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:১১

‘চিকিৎসায় তারা (বিএনপি) সন্তুষ্ট কি অসন্তুষ্ট সেটা উনাদের ব্যাপার। কিন্তু তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত। সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে ৪০১ ধারায়। সেই ধারায় একটা নিষ্পত্তিযোগ্য বা নিষ্পত্তি করা আবেদন পুনর্বিবেচনা করার কোনো প্রবিশন নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ একবার প্রয়োগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে আসার সুযোগ দেয়ার পর আবার একই ধারা প্রয়োগের কথা আইনে নেই- জাতীয় সংসদে আবার বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যত গালমন্দ করুক, আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

আনিসুল হক বলেন, ‘যা দুই দিন আগে বলেছি, তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। আইনের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আইন যা বলেছে, সেই মতে মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাজাপ্রাপ্ত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়াকে তার সাজা স্থগিত রেখে ছয় মাস এবং তার পরে সেটা বর্ধিতকরণ করা হয়েছে।’

২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ার দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। তাকে কারাগার থেকে বাসায় ফেরার সুযোগ দেয়া হয় দেশের বাইরে যাবেন না- এমন শর্তে।

গত এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না।

সাম্প্রতিক বিদেশ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে চান কীভাবে বলেন তো? খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি বেশি না?’ আপনাকে কেউ যদি হত্যা করার চেষ্টা করত, আপনি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? বলেন আমাকে?’

আইনমন্ত্রী পরদিন সংসদে বলেন, ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে পুনরায় বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আইনের বইয়ে এটা নাই।

তিনি বলেন, ‘উনারা যদি দেখাতে পারেন, আমরা তা বিবেচনা করতে পারি। কিন্তু এটা আইনের বইয়ে নেই। উনারাও দেখাতে পারবেন না, বিবেচনার প্রশ্নই আসে না।’

মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিএনপি সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে তুলে ধরা উদাহরণেরও জবাব দেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘উনারা (বিএনপির সংসদ সদস্য) বলেছেন যে ২০০৭-০৮ সালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মামলা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে যেতে দেয়া হয়েছে। কথাটা অসত্য। এটা সঠিক নয়।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দিন কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হননি। এটা সত্য। সে জন্য তিনি যখন বিদেশ গিয়েছিলেন, বিদেশে যাওয়ার পর তাকে বরং দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তিনি যখন জোর করে দেশে এসেছেন, তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছিল। এটা হচ্ছে সত্য তথ্য।’

জেএসডি সভাপতি আ স ম রবকে নিয়ে দেয়া বিএনপির সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘উনারা বলেছেন যে আ স ম আব্দুর রবকে কারাগার থেকে উনারা জার্মানি পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। কোন ধারায় পাঠিয়েছিলেন আমি জানি না। তখন মার্শাল ল ছিল। মার্শাল লর ধারা তো আর ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে চলে না। উনারা যথেচ্ছাচার করেছেন। তাই বলে আজকে আইনের শাসন যেখানে আছে সেখানে আমি যথেচ্ছাচার করতে পারি না। এটা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেই চিকিৎসায় তারা (বিএনপি) সন্তুষ্ট কি অসন্তুষ্ট, সেটা উনাদের ব্যাপার। কিন্তু একজন সাজাপ্রাপ্ত, যার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়া হয়েছে ৪০১ ধারায়। সেই ধারায় একটা নিষ্পত্তিযোগ্য বা নিষ্পত্তি করা আবেদন পুনর্বিবেচনা করার কোনো প্রবিশন নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর