বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেখা মিলবে বিলুপ্তপ্রায় আরও ৮ প্রজাতির মাছের

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:০২

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, কাজলি, কুর্শা, গাঙ ট্যাংরা, বাইলা, জারুয়া, বোল, আঙরা ও ঘারুয়া মাছের পোনা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে জারুয়া, বোল, আঙরা ও কুর্শা মূলত তিস্তা নদীর মাছ।

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে আরও আট প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষকরা।

এর আগে গবেষকরা বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা উৎপাদনে সফল হয়েছেন যার মধ্যে ১৯ প্রজাতির চাষ শুরু হয়েছে।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, কাজলি, কুর্শা, গাঙ ট্যাংরা, বাইলা, জারুয়া, বোল, আঙরা ও ঘারুয়া মাছের পোনা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে জারুয়া, বোল, আঙরা ও কুর্শা মূলত তিস্তা নদীর মাছ।

এ ছাড়া কাঁকড়া ও কুচিয়ার পোনা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশে এগুলোর চাহিদা কম হলেও বিদেশে প্রচুর চাহিদা এবং দামও বেশি।

বিএফআরআইয়ের স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাহা আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৮-০৯ সালে চাষের মাধ্যমে দেশি মাছের উৎপাদন ছিল ৬৭ হাজার টন। ২০১৯-২০ সাল নাগাদ তা প্রায় চার গুণ বেড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টন হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় মাছের পোনা সারা দেশে ব্যাপক হারে উৎপাদনের জন্য আমাদের ইনস্টিটিউটে হ্যাচারিমালিক ও চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। উৎপাদিত পোনাগুলোও স্বল্প মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

‘দেশীয় প্রজাতির মাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ আছে। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং রক্তশূন্যতা, গলগণ্ড ও অন্ধত্বের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।’

গবেষকদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় দেশীয় মাছের অনেক প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র বিনষ্ট হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার যেমন হাওর-বাঁওড়, খাল-বিল, নদ-নদীতে মাছের প্রাপ্যতা কমে গেছে।

এ কারণে দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য লাইভ জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। যেসব মাছের হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে, সেগুলো নিয়ে জোরেশোরে গবেষণা চলছে।

বিএফআরআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, দেশে স্বাদু পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ১৪৩ প্রজাতির ছোট মাছ আছে। এর মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪টি। বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোর মধ্যে ৩১টির পোনা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়েছে।

এই ৩১ প্রজাতির মাছের মধ্যে আছে পাবদা, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, চিতল, ফলি, আইড়, রাজপুঁটি, কালবাউশ, কই, গজার, ঢেলা ইত্যাদি।

জুলফিকার আলী বলেন, ‘আগে শুধু ময়মনসিংহে বিএফআরআইয়ের মূল কেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করা হতো। এখন বগুড়ার সান্তাহার, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও যশোরে উপকেন্দ্র করা হয়েছে। এই উপকেন্দ্রগুলোতে মাছ সংরক্ষণে গবেষণা হচ্ছে। তিস্তার মাছ নিয়ে কাজ করছে সৈয়দপুর উপকেন্দ্র। দেশীয় মাছ চাষের জন্য আমরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি।’

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তপ্রায় সব ছোট মাছ আমাদের লাইভ জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে ৯৮টি নিয়ে এসেছি। সৈয়দপুরেও একটি লাইভ জিন ব্যাংক হচ্ছে। সেখানেও সংরক্ষণ করা হবে।

‘আজ যে মাছ আছে কাল সেটা নাও থাকতে পারে। তখন এই জিন ব্যাংক থেকে আমরা মাছের পোনা উৎপাদন করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর