গ্রীষ্মকালীন ফল বাঙ্গি। এ বছর গ্রীষ্মে ফলটি খেয়ে ঘরের পেছনে বীজ ফেলেছিলেন গোলাম মোর্শেদ কচি।
কয়েক মাস আগে দেখতে পান ফেলে দেয়া বীজ থেকে সেখানে হয়েছে গাছ। এবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে শীতের শুরুতে সেই গাছে ধরেছে বাঙ্গি।
ঘটনাটি রাজবাড়ী সদরের ভবানীপুর গ্রামের। গোলাম মোর্শেদ বাড়ির আঙিনায় ছোট বালির ঢিবির ওপর বাঙ্গি গাছটিতে ধরেছে চারটি ফল। গরমকালের ফল হলেও শীতের শুরুতে এই বাঙ্গি হওয়ায় আশ্চর্য এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাছে রয়েছে বড় বড় তিনটি বাঙ্গি। আরেকটি বাঙ্গি পেকে যাওয়ায় সেটি তিনি ঘরে রেখেছেন। বাঙ্গিটির ওজন হয়েছে সাড়ে ৭ কেজি। বাঙ্গিটি লম্বায় সাড়ে ২৩ ইঞ্চি ও চওড়ায় ২৩ ইঞ্চি। গাছে থাকা বাঙ্গিগুলোর ওজনও এর কাছাকাছি।
সাধারণত আমাদের দেশে দুই ধরনের বাঙ্গি দেখা যায়। বেলে বাঙ্গি ও এঁটেল বাঙ্গি। গোলাম মোর্শেদের বাড়ির বাঙ্গিটি বেলে বাঙ্গি।
বাংলাদেশে বাঙ্গির বীজ বপনের সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। আর এর ফলন হয় মার্চ থেকে। কিন্তু নভেম্বরেই গাছে বাঙ্গি ধরায় অবাক বাড়ির মালিক গোলাম মোর্শেদ।
তিনি বলেন, ‘গরমের সময় বাঙ্গি খেয়ে তার বীজ এখানে ফেলি। তারপর দেখি ধীরে ধীরে একটা গাছ হয়েছে। হালকা পরিচর্যা করতে থাকি গাছটার।
‘ভেবেছিলাম সামনের বছর গরমে হয়তো ফল ধরবে। নভেম্বরের শুরুতেই গাছে বাঙ্গি দেখে অবাক হই।’
বাঙ্গি দেখতে এসেছেন স্থানীয় তালহা বিন মাসুম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাঙ্গি আমরা গরমের সময় বাজারে দেখি। শীতের শুরুতে বাঙ্গির ফলন আমরা দেখি নাই। বিষয়টি আমার জানাও ছিল না।
‘খবরটা শুনে বেশ অবাক হয়েছি। তাই এই বাড়িতে বাঙ্গি দেখতে এসেছি। বাঙ্গিগুলো বেশ বড়। এত বড় বাঙ্গি গরমের সময়ও বাজারে দেখা যায় না তেমন।’
আরেক দর্শনার্থী মুরসালিন বলেন, ‘আমি কখনো শুনি নাই শীতে বাঙ্গি হয়। বাজারেও দেখি নাই। তাই দেখতে এসেছি।’
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম শহীদ নূর আকবর এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি বিরল নয়। বাঙ্গি এখন সাধারণত ১২ মাসই গাছে ধরে, কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে এর ফলন সারা বছর না হওয়ায় বাজারে গরমের সময় ছাড়া দেখা যায় না।’