এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী এবং রোগীদের কথা বিবেচনা করে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারে মাইক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক সাধারণ সদস্য প্রার্থী।
নির্বাচনি প্রচারে শব্দদূষণ নিয়ে স্থানীয় এক শিক্ষকের ফেসবুক পোস্ট দেখে উপজেলার ১০ দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আব্দুল হেকিম রাসেল এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের বড়লেখার ১০ ইউনিয়নে ভোট আগামী ২৮ নভেম্বর। নির্বাচন উপলক্ষে এসব ইউনিয়নে রাত-দিন প্রচার চালাচ্ছেন কয়েক শ প্রার্থী।
মাইকসহ বিভিন্ন প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করে তাদের প্রচারে ব্যাহত হচ্ছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া। শব্দদূষণে স্থানীয়রাও বিরক্ত।
বড়লেখার ১০ দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল হেকিম রাসেল
নির্বাচনি প্রচারে মাইকের ব্যবহার ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পরীক্ষার্থী ও রোগীদের কথা বিবেচনা করতে প্রার্থীদের উদ্দেশে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কলাজুরা হাজী আফতাব মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিমা বেগম।
সেই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর নির্বাচনি প্রচারে মাইক ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল হেকিম রাসেল।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন শিক্ষিকার পোস্ট আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি লিখেছেন, নির্বাচনি প্রচারে মাইকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার জনজীবনে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা চলমান থাকায় পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন।
‘একজন শিক্ষিকার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং জনস্বার্থ বিবেচনায় চলমান নির্বাচনি প্রচারে আমি মাইক ব্যবহারসহ শব্দদূষণ হয় এমন ধরনের প্রচার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সবার আগে জনগণের স্বার্থ, তারপর আমার প্রচার।’
শিক্ষিকা লিমা বেগম এ বিষয়ে বলেন, ‘জনস্বার্থ বিবেচনায় প্রার্থীর এই উদ্যোগ, এই মহান ত্যাগ সত্যিই মহৎ হৃদয়ের পরিচয় বহন করে। এভাবেই জনগণের সুখ-দুঃখকে নিজের করে দেখে একজন প্রকৃত জনবান্ধব নেতা হয়ে উঠবেন, এই কামনা করি।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, ‘নিজ থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া প্রশংসার কাজ। অন্যরা এ থেকে অনেক কিছু শিখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’