তৃতীয় ধাপে পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি প্রার্থীদের।
উপজেলার হাতিগাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এই পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আসিফ শামস রঞ্জন, তিনি পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন টুকুর ভাই বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন।
প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাচনি প্রচারের জন্য আমার সমর্থকরা একটি মিছিল বের করে হাতিগাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছায়। এ সময় নারিকেল গাছ মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বাতেনের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এসে অর্তকিত আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে।
‘পরে তারা আমার নির্বাচনি অফিসও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশে খবর দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, ‘জনসমর্থন না পেয়ে নৌকার প্রার্থী রঞ্জন তার সাংসদ বাবাকে (শামসুল হক টুকু) সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছে। মামলার ফাঁদে ফেলে আমাকে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে তারা। পরিকল্পিতভাবে আমার কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারা নিজেরা নির্বাচনি অফিস ভেঙে আমার কর্মীদের ধাওয়া করেছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তেজনা সৃষ্টি করে হট্টগোল বাধিয়ে নৌকার প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আমি প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরপত্তা চাই। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’
এই দুই প্রার্থী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তাদের সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে বড় সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।