বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদী দখলদার ৬৫ হাজার, উচ্ছেদে ডিসিদের অনুরোধ

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১২:৩৯

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। সারা দেশে মোট ৬৫ হাজার ১২৭ জন অবৈধ নদী দখলদার রয়েছে।’

দেশে নদী দখলদারের সংখ্যা ৬৫ হাজার ১২৭ জন বলে সংসদকে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। সারা দেশে মোট ৬৫ হাজার ১২৭ জন অবৈধ নদী দখলদার রয়েছে।’

তিনি জানান, দখলদারদের নাম প্রকাশ করে তাদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।

সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার ৮৭৪ দখলদারকে এরই মধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য তুলে ধরেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

উদ্ধার করা নদ-নদী ও তীরভূমি, ফোরশোর যাতে পুনর্দখল না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত পরিদর্শন ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ।

দেশের নদী দখলমুক্ত করতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগসহ বিভিন্ন নদীর তীরভূমি থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৪৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭২৩.৬২ একর তীরভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা নদীবন্দরে ১৬ হাজার ৪২৪টি, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে ৪ হাজার ৭৬৯টি, বরিশাল নদীবন্দরে ১৪১টি, আশুগঞ্জ নদীবন্দরে ৫০টি এবং নওয়াপাড়া নদীবন্দরে ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

নদী দখল ঠেকাতে সারা দেশে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে বলেও সংসদকে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘নৌপথে নির্বিঘ্নে যান চলাচলে নদীপথের নাব্যতা বাড়াতে ছোট-বড় নদীগুলো খনন করার জন্য সরকার একটি ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করেছে। এই মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নাব্য করবে বিআইডব্লিউটিএ।’

মগড়া, নতুন, কংস, ফুলতলা, চলতি, দুধকুমার, বিজয়, বুড়ি, তুলাই, ধলা, ঘোড়া উৎরা, আত্রাই, তিতাস নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের মতো মৃতপ্রায় ১৫টি নদীর নাব্য পুনরুদ্ধারে ড্রেজিং চলছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই চলছে নৌযান

মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এবং ভৌগোলিক কারণে দেশের জলপথে এখনও ফিটনেস এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া নৌযান চলছে বলে সংসদে স্বীকার করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা কত, সেটা অবশ্য জানাননি প্রতিমন্ত্রী।

নওগাঁ-২ আসনের এমপি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এবং ভৌগোলিক কারণে এখনও ফিটনেস এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন নৌযান জলপথে চলাচল করছে।’

নৌপথে নজরদারি বাড়াতে জনবল বাড়ানোসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগের জন্য নৌপুলিশ সৃষ্টি করা হয়েছে। সমন্বিত ও সামষ্টিক কার্যক্রমের ফলে অবৈধ নৌ-চলাচল অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।’

দেশের সব জলযানকে নিয়ন্ত্রণ এবং আইনের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে ফিটনেসবিহীন ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন কোনো জলযান থাকবে না এবং আইএসও ১৯৭৬-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’

এ বিভাগের আরো খবর