বাস ভাঙচুরের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে মুক্ত করতে বুধবার রাতে চার ঘণ্টার বেশি সময় ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকালে বিহঙ্গ পরিবহন নামের একটি বাসে ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। সন্ধ্যায় বাসটির স্টাফদের মারপিট ও বাস ভাঙচুর করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জের পর এক শিক্ষার্থীকে আটক করে। শিক্ষার্থীকে থানায় নিলে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছিলেন।
অবরোধ-ভাঙচুরের জেরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা চালান শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে বিহঙ্গ বাসের সহকারী। এ ঘটনা জানতে পেরে সন্ধ্যায় সহপাঠীরা অবস্থান নেন ক্যাম্পাসের সামনে। বাস স্টাফদের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বাসে ভাঙচুর চালান।
ঘটনাস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার থেকে সদরঘাটগামী রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটক শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শাঁখারীবাজার মোড়ে অচলাবস্থা চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল রাতে বলেন, ‘বাসের হেলপারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। এ ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীকে মুক্ত করতে আমরা থানায় আছি। লালবাগ জোনের ডিসির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুতই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন অবরোধও তুলে নেবে শিক্ষার্থীরা।’