গাইবান্ধা পৌর শহরে মা ও সৎভাইকে ঘরে বন্দি করে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
গাইবান্ধা পৌর শহরের খানকাহ শরিফ এলাকার একটি বাসার বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে মা মামনি বেগম ও তার তিন বছরের শিশুপুত্র প্রাণে বেঁচে গেলেও আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র।
অভিযুক্ত ছেলের নাম অনিক মিয়া। তিনি মামনি বেগম ও সাবেক স্বামী আবদুর রশিদ প্রধানের তৃতীয় ছেলে। অনিক তার বাবা আবদুর রশিদের সঙ্গে গাইবান্ধা পৌর শহরের কুটিপাড়া এলাকার বাড়িতে বসবাস করেন।
মামনি বেগম জানান, ২০১৬ সালে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করে ওই বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে অনিক তার কাছে টাকা দাবিসহ নানা কারণে নির্যাতন করে আসছিলেন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ বাসায় গিয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন অনিক। একপর্যায়ে ঘরে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ‘টাকা দেইনি। তাই আমাকে আর ছেলেকে সে হত্যা করতে চাইছিল।’
জিয়াউর রহমানের অভিযোগ, সম্প্রতি চুরির মামলায় জেল থেকে ছাড়া পান অনিক। তিন-চার দিন আগে রাতে বাসায় গিয়ে তাকেসহ স্ত্রী মামনিকে হত্যার হুমকি দেন অনিক। সেই দিন থেকে তিনি ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘অনিকের দেয়া আগুনে আমার স্ত্রী-সন্তান প্রাণে বেঁচে গেছে, কিন্তু ঘর ও সেখানে থাকা সব কিছু পুড়ে গেছে।’
বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ তিনতলা বাসার নিচের টিনশেড ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।