বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতে কাঁদছিলেন ওসি প্রদীপ

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ২২:০৮

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘আসামি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন, শিগগিরই নিজ অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। সেই অনুশোচনা তার মধ্যে কাজ করছে। আর নিশ্চিতভাবে তাকে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। সেই আশঙ্কায় তিনি কাঁদছেন।’

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ প্রতিবারই আদালতে সাবলীল ছিলেন। এজলাসে কাঠগড়ায় বসে তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতেও দেখা গেছে।

তবে সপ্তম দফার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ওসি প্রদীপ ছিলেন নিষ্প্রভ। তিনি কাঁদছিলেন; যা ধরা পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়।

আদালতের কার্যক্রম শেষে বুধবার বিকেলে এজলাস থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় টেকনাফ থানার বরখাস্ত এই ওসিকে এই রূপে দেখা গেছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন, শিগগিরই নিজ অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। তিনি যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে অপরাধ করেছেন, সেই অনুশোচনা তার মধ্যে কাজ করছে। আর নিশ্চিতভাবে তাকে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। সেই আশঙ্কায় তিনি কাঁদছেন।’

এদিন আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল।

৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫-এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামের জেরা অসমাপ্ত রেখে ৭ম ধাপের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় বুধবার।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।

২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর