বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু তামিম হত্যা: আসামির স্বীকারোক্তি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২২

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, খুলনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান বুধবার এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার শিশু তামিম হত্যা মামলায় এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, খুলনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান বুধবার এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দিঘলিয়ার লাখোহাটি গ্রাম থেকে মঙ্গলবার বিকেল আসামি ওবাইদুল্লাহ শেখ ওরফে ওবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

হত্যার শিকার সাত বছরের শিশু তামিম মোল্লার বাড়িও এই গ্রামে।

আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শিশু তামিম মোল্লা মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টায় তামিম ফিরে না আসায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেন। পরের দিন লাখোহাটি গ্রামের গোয়ালাবাদ বিলের ভেতর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তামিমের মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তামিমের মা জাহানারা বেগম কলি বাদী হয়ে মামলা করেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস আরও জানান, পিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে ওবায়দুল্লাহকে ১৬ নভেম্বর আটক করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওবায়দুল্লাহ শেখ জানিয়েছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিনি শিশুদের সঙ্গে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে একজন ঢিল ছুড়লে তিনি তাকে ধরতে বিলের দিকে দৌড় দেন। শিশু তামিমও তার পিছু পিছু যায়। সেখানে গিয়ে তিনি তামিমকে বলৎকারের চেষ্টা করেন। তামিম চিৎকার করলে ওবায়দুল্লাহ বিলের মধ্যে তামিমকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহের মুখের মধ্যে কলাপাতা ঢুকিয়ে গায়ে থাকা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ডোবায় ফেলে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর