বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোংলায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২৪

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি বেআইনিভাবে পণ্য পরিবহন করছিল। এটি একটি এক চেম্বার বিশিষ্ট ভলগেট (বন্দরে বাল্কহেডের প্রচলিত নাম), যা পণ্য পরিবহনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক নিষিদ্ধ। এ ধরনের যানে বালু পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পণ্য পরিবহন করার নির্দেশ নেই।’

মোংলা বন্দরের পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় কয়লাবোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার আমিনুর রহমানকে প্রধান করে বুধবার দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বন্দরের সিনিয়র পাইলট রিয়াজুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী (নৌ নির্মাণ) অনুপ চক্রবর্ত্তী।

তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি বেআইনিভাবে পণ্য পরিবহন করছিল। এটি একটি এক চেম্বার বিশিষ্ট ভলগেট (বন্দরে বাল্কহেডের প্রচলিত নাম), যা পণ্য পরিবহনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক নিষিদ্ধ। এ ধরনের যানে বালু পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পণ্য পরিবহন করার নির্দেশ নেই।’

এ ধরনের যান ব্যবহারের বিষয়ে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ডুবে যাওয়া জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার করে চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় সোমবার বিদেশি জাহাজ ‘এলিনা বি’ থেকে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে বাল্কহেড ‘ফারদিন-১’ ঢাকায় যাচ্ছিল। পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার সময় হ্যান্ডিপার্ক নামের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে এটি ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডে থাকা কয়েকজন নদীতে ছিটকে পড়েন।

ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এম ভি ফারদিন-১ এর মালিক মো. মানিক বলেন, ‘বাল্কহেড জেনেই ইস্টার্ন ক্যারিয়ার এটি ভাড়া নেয়। এই বাল্কহেডে আমরা বালু পরিবহন করি। ওই ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান আমাদের কয়লা পরিবহনে বাধ্য করেছিল।’

মঙ্গলবার রাতে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে সুকানি (চালক) মহিউদ্দিন ও কর্মচারী নূর ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।

মোংলা পশ্চিম জোনের কোস্টগার্ডের মিডিয়া উইংয়ের অফিসার মো. আবু মোসা জানান, রায়হান চৌধুরী ও মো. রুবেল নামে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ মো. রবিউল, মো. জিয়াদ ও মো. মাসুমের সন্ধান মেলেনি। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিখোঁজ আছে মাত্র একজন। তার নাম মো. রবিউল।

এ বিভাগের আরো খবর