আইএফআইসি ব্যাংকের বাড্ডা উপশাখার দেয়াল ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টার ঘটনায় হৃদয় হোসেন নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে বুধবার হৃদয় হোসেনের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি মো. মামুন ও রুবেল সিকদারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আনাছ উদ্দিন বুধবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে হৃদয় হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে হৃদয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয় অপর দুই আসামিকে। তাদের জামিন অথবা রিমান্ড আবেদন না থাকায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি।
আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রনপ কুমার ভক্ত এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর রাত ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সময়ে বাড্ডা থানাধীন লিংক রোডে ডে-নাইট সিরাজ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় লুটের চেষ্টা হয়। সেখানে আয়রন সেফ রুমের উত্তর পাশের দেয়াল গোল করে ভেঙে ফেলেন আসামিরা। মামুন ও রুবেলের সহযোগিতায় হৃদয় ভেতরে ঢুকে আয়রন সেফ ভাঙতে চেষ্টা করেন। আয়রন সেফে রক্ষিত টাকা চুরিতে ব্যর্থ হন তারা।
পুলিশ জানায়, আসামিরা পেশাদার চোর। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাড্ডা এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় এর আগে বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন।
দেয়াল ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টার ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন মিজানুর রহমান নামে আইএফআইসির এক কর্মকর্তা।