বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় চার্জগঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছে আদালত।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটির চার্জ শুনানির নির্ধারিত দিন ছিল বুধবার। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি।
এ জন্য তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সময় আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ এনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা আছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে নেয়া মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাৱবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগ এনে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন।