শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক চাঁদনি রূপম বুধবার দুপুরে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন আব্বাস ব্যাপারী ও জুয়েল কাজী।
পালং মডেল থানায় মঙ্গলবার করা ওই মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয় ১১ নভেম্বর। এই নির্বাচনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কোতোয়ালের পরিবার নৌকার প্রার্থী জামাল হোসাইন পক্ষে কাজ করে।
এর জেরে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী ও তার সমর্থকরা গত ১৪ নভেম্বর জাকিরের ভাই মেহেদী হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ ঘটনায় জাকির মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা করতে পালং মডেল থানায় যান। খবর পেয়ে বাচ্চু ব্যাপারীর লোকজন শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
মামলার কপি ফটোকপি করতে জাকির ও তার ভাই মনির শহরের ডাক বাংলো এলাকায় যান। সেখানে বাচ্চু ও তার সমর্থকরা তাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা করেন। এ সময় জাকিরকে গুলি করা হয়। কোপানো হয় তার ভাই মনিরকে।
আহতদের মঙ্গলবার রাতে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।
জাকিরকে ঢাকায় নেয়ার পথে স্বজনরা তার বক্তব্য ফোনে ধারণ করেন। ৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জানের নেতৃত্বে হামলায় জড়িতদের ধরতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এজাহারভুক্ত আব্বাস ব্যাপারী ও জুয়েল কাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বাদী জাকিরের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আমার তিন ছেলে কাজ করেছে। প্রথমে মেহেদীকে কুপিয়েছে ওরা। এবার জাকির ও মনিরকে মেরে ফেলতে কুপিয়েছে, গুলি করেছে। আমাদের দোষ কী?’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের পর তেঁতুলিয়ার সহিংসতায় জাকিরের ভাই মেহেদীকে কোপানো হয়। সেই ঘটনায় জাকির মামলা করেন।
‘ফেরার পথে তারা দুই ভাই হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’