দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৬৬ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৪ জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩৬ টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৬৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৫।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের ২ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ২ ও ষাটোর্ধ্ব ৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। এ ছাড়া, ঢাকা বিভাগে ২ জন এবং রাজশাহী বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একজন বাসাতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে ফের বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়।