মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
নিহত আলমগীর হোসেন প্যাদার স্ত্রী ফারহানা বেগম মঙ্গলবার রাতে কালকিনি থানায় মামলা করেন।
এতে চরদৌলতখান (সিডি খান) ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মান্নান মোল্লাকে প্রধান করে ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বুধবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ১০ নভেম্বর চরদৌলতখান ইউনিয়নের নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারের জেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়া ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী চাঁন মিয়া শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।
সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হন। তাদের নেয়া হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ১৫ নভেম্বর ভোরে আলমগীরের মৃত্যু হয়।
ওসি রাসেল বলেন, ‘সংঘর্ষের দিন কালকিনি থানা পুলিশ আটজনকে আটক করে। তাদের মধ্যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ওই চারজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই এলাকায় কোনো রকম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’