বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থী, ৬ জন একই পরিবারের

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৫২

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘এটা ফজলার রহমানের কেন্দ্র দখলের কৌশল। ভোটের দিন প্রতিটি বুথে তাদের ছয়জন করে এজেন্ট রেখে কেন্দ্র দখলে রাখার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বলাও হয়েছে। ফজলার রহমান ছাড়া অন্য কেউ প্রচার করছেন না। এমনকি তারা মাঠেও নেই।’

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার ৩ ছেলেসহ একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফজলার রহমানকে সুরক্ষা দিতেই তারা প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছেলেরা। তাই ফজলার রহমান ছাড়া প্রচারের মাঠে নেই ওই ছয় প্রার্থী।

তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে বড়ভিটায় ভোট হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলার রহমানের পাশাপাশি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তার ছেলে আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান, আবু সাজ্জাদ মোস্তফা কামাল ও আবু হেনা মোস্তফা জামান। ফজলার রহমানের ভগ্নিপতি আব্দুল কাইয়ুম আযাদ ও খালাতো ভাই মুক্তাদির রায়হানও চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী।

লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ফজলার রহমানের পরিবারের এই সদস্যরা স্বতন্ত্র। তাদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। কারণ প্রচারের মাঠে ফজলার ছাড়া আর কাউকেই দেখা যায়নি।

ফজলার রহমান ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি। এই উপজেলায় পাঁচবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ১৯৭৪ সালে।

তার ছেলে আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এটা আমাদের নির্বাচনী কৌশল। এর আগে নির্বাচনে আমাদের ভোট আরেকজনের বলে চালিয়ে দিয়েছিল। ভোটকেন্দ্রে বেশি করে আমাদের এজেন্ট থাকলে আর সমস্যা হবে না। প্রার্থী হলেও আমরা সবাই বাবার জন্য কাজ করছি। ভোটও বাবার মার্কায় যাবে।’

ফজলার রহমানের বড় ছেলে আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমরা জনপ্রিয়তা যাচাই করছি। যার পজিশন ভালো তার পক্ষে যাব। যদি দেখি বাবার অবস্থান ভালো তাহলে তাকে সমর্থন দেব। তিন ছেলেরও পোস্টার প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু প্রচার চালাচ্ছি না।’

তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলার রহমানের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

একই পরিবারের এতজন প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান পদের অন্য প্রার্থীদের।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘এটা ফজলার রহমানের কেন্দ্র দখলের কৌশল। ভোটের দিন প্রতিটি বুথে তাদের ছয়জন করে এজেন্ট রেখে কেন্দ্র দখলে রাখার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বলাও হয়েছে। ফজলার রহমান ছাড়া অন্য কেউ প্রচার করছেন না। এমনকি তারা মাঠেও নেই।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদ বলেন, ‘আগে থেকেই ফজলার রহমান ভোট কেন্দ্র দখলের জন্য কৌশলে এটা করছেন। প্রতি বুথে আমার থাকবে একজন এজেন্ট, সেখানে তার থাকবে ছয়জন। কথা বলার জায়গা তার বেশি হলো। সেক্ষেত্রে তার পক্ষে ভোটকেন্দ্রে গন্ডগোল করার লোক থাকবে।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু করার নেই। তবে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর