বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার দোকানিদের জন্য রাবি প্রশাসনের ‘সান্ধ্য’ আইন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৩২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে, রাত ৮টা পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে বহিরাগতদের আড্ডা জমে। এতে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। এই আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। এই আদেশ আজ থেকেই কার্যকর হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেতরে থাকা সব দোকান রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

এ আদেশ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদ আলী স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, এস্টেট উপদেষ্টা কমিটির এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সব দোকান রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। কোনো অবস্থায় ওই সময়ের পরে দোকান খোলা রাখা যাবে না।আদেশে আরও বলা হয়, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকান বন্ধ করা না হয় তাহলে তাকে আর্থিক জরিমানা করা হবে।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দোকানমালিকরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেবার জন্যই দোকান খোলা রাখছি। এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ছাত্রীদেরকেও হলে ফিরতে হয়। সান্ধ্য এ আইন বাতিলের জন্য গত ৫ নভেম্বর ছাত্রীরা বিক্ষোভও করেন।

ক্যাম্পাসের স্থায়ী দোকানমালিক সমিতির সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন করলে সবার জন্য করা দরকার। ক্যাম্পাসে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের দোকান রয়েছে। যেগুলো স্থায়ী, সেগুলো স্টেট দপ্তরের অধীনে। আমাদেরকে স্টেট দপ্তরকে প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হয়।

‘ওখান থেকেই আমাদের বলছে, রাত সাড়ে ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু যারা অস্থায়ী দোকান মালিক তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মও মানছেন না। তাদের জন্য কোনো আইনও করা হচ্ছে না। আইন করলে সবার জন্য করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভয়ে আছি। যদি কোনো সময় জরুরি কোনো কাজে আটকা পড়ে দোকান খোলা রাখি তাহলে আমাদের জরিমানা গুনতে হবে। সারা দিন যা আয় হবে তা দিন শেষে জরিমানায় যাবে।

‘আমরা শিক্ষার্থীদের সেবার জন্য দোকান খোলা রাখছি। আর এখান থেকে আমাদের জীবন চলে। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তাদের দোকান বন্ধ করে দেয়া হোক। আর আমাদের প্রতি প্রশাসনের সদয় হওয়ার অনুরোধ করছি।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদ আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এ আদেশ জারি করা হয়েছে।’বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে বহিরাগতদের আড্ডা জমে। এতে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হতে পারে।

‘অনৈতিক কোনো কার্যক্রম কেউ যাতে করতে না পারে সে জন্যই এ আদেশ জারি করা হয়েছে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী মেসে থাকেন, তাদেরকেও গভীর রাত পর্যন্ত এসব দোকানে সময় কাটাতে দেখা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে দোকানমালিকদের একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। এই আদেশ আজ থেকেই কার্যকর হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর