অগ্রহায়ণের শুরুতে ঠাকুরগাঁওয়ে ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে শীত। দিনে গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় কুয়াশা পড়া। আর বাড়ছে হিমেল বাতাস বওয়া।
কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত এই জেলার মহাসড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে ও হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শহরের গোয়ালপাড়ার আবু কালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা দিন রোদ আর গরম থাকে কিন্তু মাগরিবের পর থেকে ঠান্ডা লাগা শুরু হয়। রাতে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। সকাল ৮টার দিকে আবার রোদের তাপ বেড়ে যায়।’
সকালে রাস্তায় দৌড়াতে বের হওয়া মাহাবুব আলম বলেন, ‘আমাদের এই জেলায় প্রতিবারই শীত বেশি পড়ে। শীত আসলেই আমি সকালে রাস্তায় দৌড়াই। ৬টা পর্যন্ত কুয়াশায় কিছু দেখা যায়। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলে। ৮টার দিকে যখন রোদ ওঠে তখন গরম লাগতে শুরু করে।’
হানিফ পরিবহনের বাসচালক জানান, তিনি ১৫ দিন আগে থেকেই সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস চালাচ্ছেন। এত কুয়াশায় বাস চালাতে ভয় হয়। এ কারণে ধীরগতিতে চালান।
শীত এলেই দুর্ভোগে পড়তে হয় ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্ন আয়ের ও গৃহহীন মানুষদের।
নুর বানু নামের এক বৃদ্ধা থাকেন শহরের রেলস্টেশন রোডে। আশপাশের এলাকায় ভিক্ষা করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শীতের দিন আমাদের বড় কষ্ট। সারা রাত একটা কম্বল দিয়ে পার করতে হয়। আমি বুড়ি মানুষ, ছেলেমেয়ে কেউ নাই। কার কাছে থাকব? জেলার ধনী মানুষরা যদি কম্বল দেয় তাহলে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পারব।’
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা গতবারও শীতকালে সবার পাশে থেকেছি। এই শীতেও অসহায়, দরিদ্র মানুষের যেন কোনো কষ্ট না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।’