ভারত থেকে ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে ট্রেনে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর এ থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনের আয় হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
আদমানিকৃত পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগেই পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, পিকআপ ভ্যান, কনটেইনার।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বর্তমানে চুরি, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের কারণে এখন ট্রাকের পরিবর্তে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন আমদানিকারকরা।
এ ছাড়া বেনাপোল বন্দরে পণ্য রাখার জায়গার অভাবসহ পেট্রাপোল বন্দরের বেসরকারি কালীতলা সিন্ডিকেটের কারণে এক কনসাইনমেন্ট আমদানি পণ্য বাংলাদেশে ঢুকতে ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগছে। দীর্ঘদিন পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য আটকে থাকার কারণে প্রতিদিন আমদানিকারকদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এসব কারণে ট্রাকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
যেসব পণ্য আগে ট্রাকে আসত সেসব পণ্য এখন ট্রেনে আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ইন্দোবাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাবকমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটসহ বন্দরে নানা অনিয়মের কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। পত্রের মাধ্যমে বন্দরের নানা অনিয়মের কথা জানালেও বন্দর কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। সড়কপথে আমদানি করেও নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সড়কপথে আমদানি না করে ট্রেনে আমদানি করছেন।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরের দূরত্ব এক কিলোমিটারও নয়। এতটুকু দূরত্ব আসতে যদি ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে, তাহলে সে বন্দর দিয়ে সড়কপথে কোনো আমদানিকারক কি আমদানি করবেন?
‘তাছাড়া, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। ভারতের পেট্রাপোল কালীতলা সিন্ডিকেটের কারণে সড়কপথে এক ট্রাকে পণ্য আমদানি হয়ে বেনাপোল বন্দরে আসতে সময় লাগছে ৩৫ থেকে ৪০ দিন। এসব কারণে সড়কপথে আমদানি কমে গেছে। সে কারণেই ট্রেনে আমদানি বেড়েছে।’
বেনাপোল স্টেশনমাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর- এই তিন মাসে ভারত থেকে ট্রেনে বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করে বেনাপোল রেলস্টেশনের আয় হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য এসেছে। মোট পণ্য আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।