নানা অনিয়মের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এরা হলেন দারাজের স্টক স্টেকহোল্ডার শামসুল ইসলাম মাসুদ ও হেড অফ কমার্শিয়াল কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির।
তিনি বলেন, ‘দারাজের অভিযোগের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। উনাদের সিআইডি কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছিল। উনারা আজ এসেছিলেন এবং আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনাদের কাছে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে এবং কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরে উনাদের আবারও সিআইডিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।’
সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার অবৈধ ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের বিরুদ্ধে তদন্তের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডিতে ডাকা হয়েছিল।
সিআইডির তদন্ত ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা দারাজের ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির আইনি দিক খতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে তাদের পণ্য বিক্রির তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করায় দারাজকে শোকজ নোটিশও দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ছায়া তদন্ত চালিয়ে দারাজের অনুমোদনহীন অবৈধ পণ্য বিক্রির প্রমাণ পায় সিআইডি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট দারাজের বিরুদ্ধে নানামুখী তদন্ত শুরু করে। অবৈধ পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় সিআইডি ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দারাজের ব্যাংক হিসাব তলব করে।