মাদারীপুরে শিবচরে যুবককে হত্যার পর মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মেদ হোসেনের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে আসামি এমদাদুল মুন্সী জবানবন্দি দেন।
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে সোমবার এমদাদুলকে গ্রেপ্তার কথা জানায় পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন।
শিবচর থানা পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার বগুড়া সদর উপজেলার চকসূত্রাপুর গ্রামের রেজাউল করিম ও আসামি কুষ্টিয়ার চর আমলা গ্রামের রোলাস মালিথা রনি কর্মসূত্রে নেপালে ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আড়াই বছর আগে দেশে আসার পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। দুই মাস আগে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেতুর প্রকল্পে কাজ দেয়ার কথা বলে রনি তাকে শিবচরে যেতে বলেন।
পুলিশ আরও জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউল শিবচরের মাদবরচর যান। সেখানে রনি তার সহযোগী এমদাদ মুন্সীকে প্রকল্পের প্রধান সাজিয়ে রেজাউলকে নিয়ে রাতে মাদবরচরের কালাই হাজীকান্দি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরের কাছে নিয়ে যান।
মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে রেজাউলকে হত্যা করেন তারা। পরে রেজাউলের পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। রেজাউলের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তাদের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন রনি ও এমদাদুল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কালাই হাজীকান্দি গ্রামের সেই পরিত্যক্ত ঘর থেকে রেজাউলের হাত-পা বাঁধা ও মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনা উদ্ঘাটন করি ও খুনের সঙ্গে জড়িত এমদাদুলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করি। এমদাদুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলের পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে নিহত রেজাউলের ব্যাগ ও জামা-কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
‘রেজাউল করিম হত্যার সাথে গ্রেপ্তার এমদাদুল সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। অপর আসামি রোলাস মালিথা রনিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’