দেশের মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ২১ কোটি টিকা কেনা হয়েছে। এরই মধ্যে সাড়ে ১১ কোটি টিকা দেশে এসেছে, সাড়ে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার ডার্মাটোলোজির তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মলেনের সমাপনি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
সম্মলেনে ছয় শর বেশি সদস্য অংশ নেন। দুই দিনের সম্মেলনের সমাপনি ছিল মঙ্গলবার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ধারাবাহিকভাবে টিকাদান চলছে। সবার চেষ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেই আজ এত বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে শনাক্তের হার এক শতাংশের মধ্যে। করোনা সংক্রমণের কারণে অনেক দেশের জিডিপি এখন নিচের দিকে, অথচ আমাদের দেশে প্রবৃদ্ধি এ সময়ে ভালো ছিল।
‘করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে। সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এ খাতকে এখন ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্ম রোগ ইনস্টিটিউট স্থাপনে চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘চর্ম রোগ ইনস্টিটিউট করা হবে। যেমন বাস্তবায়ন হয়েছে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।’
বাংলাদেশ অ্যাক্যাডেমি ডার্মাটোলজি বিভাগের সভাপতি শহিদুল্লাহ শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
শহিদুল্লাহ শিকদার বলেন, ‘চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি ছিল। এমনকি করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরও অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সংকটের মধ্যেও তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছি। এখন চর্ম রোগের নতুন নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তবে এ ধরণের রোগীর চিকিৎসায় চর্ম রোগের আলাদা ইনস্টিটিউট থাকা প্রয়োজন।’