রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) সহসভাপতি লিলি বেগম।
এই ঘটনায় লিলির ভাগিনা শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১১ নভেম্বর দুপুরে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মঞ্জু জানান, তাদের সমিতি ১৯৯৯ সাল থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি ও এর আশপাশের এলাকার নারী ও মেয়ে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে আসছে। লিলি বেগম সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১০ নভেম্বর দুপুরে পাশের আব্দুল লতিফের বাড়িতে দাওয়াতের কথা বলে যৌনপল্লির নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন লিলি।
লিলির ভাগিনা শফি ইসলাম জানান, তার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। লিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় বাস করেন। দৌলতদিয়া যৌনপল্লির মধ্যে তার খালার একটি বাড়ি আছে।
তিনি আরও জানান, খালার সঙ্গে ফোনে তার সব সময় যোগাযোগ হতো। ১০ নভেম্বর লিলির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পর দিন খালার খোঁজ নিতে দৌলতদিয়া যান।
লিলির বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, লিলি বেগম পাশের আব্দুল লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেননি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর নিউজবাংলাকে জানান, লিলি বেগমের ভাগিনা ১০ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। তখন থেকেই তার সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। মোবাইল ফোনের কল লিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় এরই মধ্যে নিখোঁজের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।