দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সুবিধা নিতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার ডিসিসিআই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।
ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান ও আইবিএ’র পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ মোমেন নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরিত স্মারক অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্প ও শিক্ষা খাতের যৌথ প্রয়াসে প্রতিষ্ঠান দুটি একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও ডিসিসিআই ও আইবিএ যৌথভাবে গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা, মেলাসহ বিভিন্ন বাণিজ্য আলোচনা সভার আয়োজন করবে। অপরদিকে আইবিএ’র শিক্ষার্থীদের জন্য ডিসিসিআই ইন্টার্ন সুবিধা দেবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, দেশের বিকাশমান অর্থনীতির গতিধারা আরো বেগবান করতে শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে হবে। এজন্য বাণিজ্য সংগঠনগুলোর পাশাপাশি শিল্প খাতের সঙ্গে আইবিএ’র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগাযোগ আরো সুদৃঢ় করতে হবে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব প্রকট। এ অবস্থায় শিল্প খাতের প্রয়োজনের নিরীখে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বিদ্যমান পাঠক্রমের আধুনিকায়ন জরুরি। দেশে শিল্পায়নের প্রসারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরো বেশি হারে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আর উদ্যোক্তারা এসব গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সুযোগ নিতে পারেন।
আইবিএ পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ক্রমাগত উন্নয়ন, আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা এবং পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতির কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্যোক্তাদের অবশ্যই মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। আর সেই নীতিমালা হতে হবে যুগোপযোগী।
প্রফেসর মোহাম্মদ মোমেন বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। সেখানে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তারা আরো বেশি করে উপকৃত হতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে আরো বেশি হারে বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালক গোলাম জিলানী, আইবিএ’র অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহান, অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।