বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই বিচারককে নিয়ে চিঠি দিয়ে অন্যায় করিনি: আইনমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:২২

‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে, জনগণের কাছে আমার যে জবাবদিহিতার যে দায়িত্ব আছে, সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি এটা করেছি। আমি অন্যায় করেছি? উনারা যদি বলেন, অন্যায় করেছি, উনারা বলতে পারেন। কিন্তু জনগণের চোখে আমি অন্যায় করিনি।’

হোটেল রেইনট্রিতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে করা মামলার বিচারক কামরুন্নাহারের বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়ায় অন্যায় কিছু দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই কাজ করেছেন। আর প্রধান বিচারপতি তার মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জাতীয় সংসদে ১৫তম অধিবেশনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী আলোচনায় অংশ নিয়ে বিচারককে সরাতে প্রধান বিচারপতির কাছে আইনমন্ত্রীর চিঠি পাঠানো বিচারবিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন।

শামীম হায়দার আরও বলেন, ‘একজন আইনমন্ত্রী যদি এভাবে বিচারক সরাতে অনুরোধ করেন সেটা তখন অনুরোধ থাকে না। এটা পেছনের দরজার নির্বাহী আদেশ হয়ে যায়। এ ধরনের আদেশ বিচার ব্যবস্থার জন্য স্বস্তিদায়ক নয়।’

এই আলোচনা উঠে রেইনট্রি হত্যা মামলার রায়ে বিচারকের একটি মন্তব্য এবং পরে তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া ও এখানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে।

গত ১০ নভেম্বর আলোচিত এই মামলার রায়ে বিচারক ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না দেয়ার কথা বলেন। তার এই পর্যবেক্ষণ তুমুল সমালোচনা তৈরি করে। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে চিঠি দেন।

১৪ নভেম্বর বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা রদ করা হয়। এরপর তাকে আইন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের সমতুল্য- জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যের এমন অভিযোগের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক রায়ের ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলিনি। আই হ্যাভ বিন ভেরি স্পেসিফিক, উনি বিচার যা করেছেন, রায় যা দিয়েছেন সেটা উনার ব্যাপার। সেটা আপিলে সিদ্ধান্ত হবে।

‘আমার আপত্তিটা কোথায়? আপত্তি হচ্ছে এখানে, উনি বলেছেন কোনো ধর্ষণ মামলা ৭২ ঘণ্টা পর নেয়া যাবে না। কিন্তু ফৌজদারি মামলাকে সময় দিয়ে আটকে রাখা যায় না। যদি সেটা হয়, তাহলে আমরা, আমাদের যে আস্তাকুড়ে ফেলা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যেত না।’

৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার কোনো অভিযোগও গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী ও এক নম্বর স্বাক্ষী তার জবানবন্দিতে বলে গেছেন, লালবাগ থানায় গিয়ে মামলা করতে গিয়ে পারেননি। পুলিশ তাকে বলেছিলেন, ‘ব্যাটা তুইও মরবি আমাদেরও মারবি, এখন থেকে যা।’ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল করে সেই হত্যাকাণ্ডের এফআইআর করা হয়েছিল।”

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি, যিনি বিচারবিভাগের গার্ডিয়ান, বিচারবিভাগের প্রধান, তিনি কাকে সরাবেন কাকে রাখবেন আই অলসো ডিড নট সাজেস্ট। আমি বলেছি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি আপনি এই ব্যাপারটা একটু দেখবেন।’

প্রধান বিচারপতি কাছে চিঠি দেয়াকে জনগণের প্রতির নিজের দায়বদ্ধতা হিসেবে দেখছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে, জনগণের কাছে আমার যে জবাবদিহিতার যে দায়িত্ব আছে, সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি এটা করেছি। আমি অন্যায় করেছি? উনারা যদি বলেন, অন্যায় করেছি, উনারা বলতে পারেন। কিন্তু জনগণের চোখে আমি অন্যায় করিনি।’

এ বিভাগের আরো খবর