বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেঙ্গু আর বায়ুদূষণে নাকাল দিল্লিবাসী

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৪৬

দিল্লিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৭৭ জন। প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন।

স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত দুর্যোগ কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না ভারতের রাজধানীকে। করোনা মহামারির প্রকোপ কমতে না-কমতেই দিল্লিতে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভয়ংকর মাত্রায় বায়ুদূষণ। গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো আরেক শঙ্কার খবর- করোনা ও ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ।

দিল্লিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৭৭ জন। প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী দিল্লিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার এ সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে রেকর্ড।

দিল্লিতে গত এক সপ্তাহেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৬৯ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৭২ জনই তিন মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট ও রেল এলাকার অধিবাসী। তাদের মধ্যে ৪৭০ জন আবার দিল্লির বাসিন্দা নয়।

মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নভেম্বরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। মারা যায় ৯ জন। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ডেঙ্গুতে দিল্লিতে মারা যায় ১০ জন। ২০১৮ সালে মারা যায় চারজন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি নেমে আসে দুজনে। আর ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় একজন।

অথচ এ বছর নভেম্বরের ১৩ তারিখের মধ্যেই ডেঙ্গুতে ৯ জন মারা গেছে। এ ছাড়াও দিল্লিতে এ বছর ১৬৬ জন ম্যালেরিয়ায় ও ৮৯ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও থাবা বসিয়েছে রাজধানীতে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট চলাকালেই নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এবার ডেঙ্গু রোগীর শরীরেও এই ছত্রাক সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দিল্লির এক হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিস নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৯ বছরের এক ব্যক্তি। মাত্র ১৫ দিন আগেই তিনি ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আবির্ভাবে চিন্তিত চিকিৎসক মহলও।

মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের কারণে নাক, চোখ এমনকি মস্তিষ্কের সুস্থ কোষগুলোও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোগ দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও সে অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু না হলে সংশ্লিষ্ট রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে তার নাক ও গালের অংশ কেটে বাদ দিতে হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সদ্য ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। সেরা চিকিৎসাটুকু দেয়ার পরও ওই রোগী চিরকালের মতো দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। এমনকি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে রোগীর দুটি চোখই বাদ দিতে হতে পারে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালেই দিল্লিসহ ভারতজুড়ে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। মধুমেহ বা অন্য কোনও কো-মর্ডিবিটি যুক্ত রোগীদের মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছিল। মূলত করোনার দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েডের কারণেই এই ছত্রাক সংক্রমণ হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। দেশজুড়ে প্রায় কয়েক হাজার রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই এই সংক্রমণকে ‘মহামারি’ বলে ঘোষণা করা হয়।

চোখ ও কানের চারপাশে ব্যথা অনুভব করা, লাল হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর, নাক থেকে রক্তপাত হওয়া (এপিস্ট্যাক্সিস), সাইনাসের মারাত্মক যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তবমি ও বমির ভাব, মানসিক অস্থিরতা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস হওয়া, চোখে আংশিক ঝাপসা দেখলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার উপদেশ দেয়া হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর