দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি সরকার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কিলার’ আব্বাস, ওরফে আব্বাস আলীকে কেন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে আব্বাসের নাম, পরিচয় ও অপরাধসংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছে আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, তার সঙ্গে ছিলেন সাকির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আব্বাসের নাম, পরিচয় ও তার অপরাধসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন তাকে কেন হাজির করা হবে না। আমরা হাইকোর্টে হাজির চেয়েছি, এরপর এখান থেকে মুক্তি চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ছিল, যার সবকটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। একটি ডাকাতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না।’
১১ মামলায় খালাস আর এক মামলায় জামিন হলেও মুক্তি না দেয়ায় আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে আব্বাসের মুক্তি চেয়ে এবং তার সব নথি তলব চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্বাসকে। তখন থেকে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।