বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:২৯

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন ‘এতো বেশি প্রচারণার মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। কিছু কিছু ঘটনাতো সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার দেখছে। আমার মনে হয়, যেহেতু আমাদের নির্বাচন ধাপে ধাপে হচ্ছে, একসঙ্গে হচ্ছে না। কাজেই আমাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার যে সদস্য আছে তাদের পরিধি আরও বাড়াতে পারলে সহিংসতা কমে আসবে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সচিবালয়ে সফররত শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

এ সময় বারবার সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার প্রসঙ্গ ওঠে। গত ১১ নভেম্বর সারা দেশের ৮৪৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়। ভোটের আগেও বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

ভোটের দিন সহিংসতায় ৬ জন নিহত হয়। এ ছাড়া ভোট পরবর্তী সহিংসতায় বেশ কয়েকজন আহত ও নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

এমন অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এর আগে জাতীয় পার্টিও সরকারকে আহ্বান জানায়।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সহিংসতার বিষয়টি টোটালি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখে। আপনারা জানেন, একটা ওয়ার্ডে অসংখ্য সদস্য প্রার্থী থাকে। তাই নির্বাচনি প্রচারণাটাও অনেক বেশি হয়। ভোট কাস্টিং প্রায় ৯৫ শতাংশ হয়ে যায়। কারণ সর্বশেষ ভোটার কোথায় আছে সেটাও খুঁজে বের করা হয়। কাজেই অনেকগুলো বিষয় এখানে কাজ করে।

‘এতো বেশি প্রচারণার মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। কিছু কিছু ঘটনাতো সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার দেখছে। আমার মনে হয়, যেহেতু আমাদের নির্বাচন ধাপে ধাপে হচ্ছে, একসঙ্গে হচ্ছে না। কাজেই আমাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার যে সদস্য আছে তাদের পরিধি আরও বাড়াতে পারলে সহিংসতা কমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের সহিংসাতার কথা বললে অতীতে যেতে হবে। অতীতে ৫০০-৬০০ লোকেরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এটা বেশি দিনের না। দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছি। গত বছর যে সব সমস্যা ছিল, এ বছর সে সকল সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথে এগিয়ে গেছে।

‘আগামী বছর নির্বাচনে যখন এ বিষয়টা মাইন্ডসেট হয়ে যাবে। এখনও আমাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দায়বদ্ধতা থাকে। সেটা যে দলের প্রতীকই হোক না কেন। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলে তার দায়বদ্ধতা থাকে না। স্থানীয় সরকাগুলো যেভাবে শক্তিশালী ও কর্মমুখর হচ্ছে, সেখানে প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।’

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে দ্বন্দ্ব বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল নেই। আমাদের যে লাখ লাখ নেতা-কর্মী রয়েছে তারা সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলবে।

‘তবে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। এগুলো সব জায়গায়ই আছে। এগুলো নিয়ে আমাদের দল কাজ করছে। বিশেষ করে বর্ধিত সভাগুলো হয়, সেখানে এ সকল বিষয় উঠে আসছে এবং একটা একটা করে সমাধান হচ্ছে।’

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দল কোনো সিদ্ধান্ত নেবে কিনা জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জয়ী করেছে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। এখন দলীয় পদ দেয়া হবে কিনা। সেটা দলের সিদ্ধান্ত।

‘নির্বাচন পরের যে সভাগুলো জেলায় জেলায় হবে, তখন স্থানীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে উঠে আসবে। তখন দলীয় সিদ্ধান্ত হবে। ঢালাওভাবে এক সিদ্ধান্ত দিয়ে সারা বাংলাদেশকে যাচাই করা যাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর