টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা গেছেন।
ঢাকার সিএমএইচে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন এমপির স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন।
তিনি জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ সময়ে তিনি আরও জানান, আজকে সংসদ ভবনে একাব্বর হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ নভেম্বর বাদ জোহর মির্জাপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আত্মার শান্তি কামনা করে ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।
মন্ত্রীর সাবেক এপিএস শামীম আল মামুন জানান, কিডনিজনিত অসুস্থতার কারণে একাব্বর হোসেন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতেন। গত ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ২০ অক্টোবর বুধবার সিটিস্ক্যান রিপোর্টে জানা যায় তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মির্জাপুরের পৌর মেয়র সালমা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এমপি চলে যাওয়াতে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়লাম। যেকোনো বিপদ-আপদে তাকে পাশে পেয়েছি।’
মির্জাপুর উপজেলার পোস্টাকামুরী গ্রামে ওয়াজউদ্দিন ও রোজিনা বেগম দম্পতির ঘরে ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই একাব্বর হোসেনের জন্ম। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও ১৯৭৮ সালে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অর্থাৎ নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
এ ছাড়া তিনি জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।