বিনিয়োগকারীর মূলধনের বিপরীতে ঋণকে সূচকের সীমায় বেঁধে না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন দেশের পুঁজিবাজারে লাফ দিয়েছে মূল্যসূচক। সূচক এক দিনেই বাড়ল ১১৫ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে ১২ কর্মদিবস পর সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করল।
এই উত্থানে প্রধান ভূমিকায় ছিল বছরের পর বছর ধরে ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাত। এই খাতের প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ার দর কেবল বেড়েছে এমন নয়, দর বৃদ্ধির শতকরা হারও ছিল উল্লেখযোগ্য।
ব্যাংক খাতের মতোই ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত ও বিমার শেয়ার দর বৃদ্ধি, পাশাপাশি ওষুধ খাতের স্কয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা, আইসিবি, গ্রামীণফোন, পাওয়ার গ্রিড ও লাফার্জ হোলসিমের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দর বৃদ্ধিও সূচক বৃদ্ধিতে রেখেছে ভূমিকা।
লেনদেনে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্যাংক খাত। এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। মোট লেনদেনের প্রায় ৩০ শতাংশই এই একটি খাতে হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে এর ৪০ শতাংশ লেনদেনও হয়নি।
দারুণ দিন গেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতের তিন কোম্পানিরও। দিন ভালো গেছে তথ্যপ্রযুক্তি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও। মিশ্র প্রবণতায় ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত।
অন্যদিকে উত্থানের পুঁজিবাজারে প্রকৌশল এবং বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা অনেকটাই হতাশার মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও দিনটি খুব ভালো গেছে এমন নয়।
দিন শেষে বেড়েছে ২১৯টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৩০টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ২৭টি।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৬ পয়েন্ট, যা গত ১৮ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্ট।
ক্রমাগত দরপতনের হতাশার মধ্যে লেনদেনের এই চিত্র মৌলভিত্তির কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বসিত করেছে
মৌলভিত্তির কোম্পানির দর বৃদ্ধির দিন শেয়ার দর কমেছে দুর্বল আর্থিক ভিত্তির কোম্পানিগুলোর। যেগুলোর লভ্যাংশ বা প্রান্তিক প্রতিবেদন হতাশ করেছে, সেসব কোম্পানিকেই দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত মূল্য সংশোধনের মধ্যে সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মার্জিন ঋণ নিয়ে একটি আদেশ জারি করে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, মার্জিন ঋণ আর সূচকের সীমায় আবদ্ধ থাকবে না। যেকোনো শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪০-এর মধ্যে থাকলেই সেই শেয়ারে বিনিয়োগে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যাবে। আর সূচক এর ওপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
এই নির্দেশনার কারণে সূচক একটি নির্দিষ্ট সীমা পার হলে ক্রয়চাপ আসতে থাকে। আর বিএসইসিও ধারাবাহিকভাবে তাদের নির্দেশনা সংশোধন করতে থাকে।
গত ১৮ আগস্ট বিএসইসি জানায়, সূচক ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা ঋণ নেয়া যাবে। সে সময় এই নির্দেশনায় বাজার চাঙা হলেও ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমাগত সংশোধনের মধ্যে নতুন একটি উদ্যোগের যে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, তাতে আপাতত কাজ হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির চারটি ছিল ব্যাংক খাতের, দুটি ওষুধ ও রসায়ন খাতের, জ্বালানি, সিমেন্ট, টেলিকমিউনিকেশন ও আর্থিক খাতের আছে একটি করে কোম্পানি।
সূচক বাড়নোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা, এর পরের অবস্থানগুলো ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, আইসিবি, আইএফআইসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, পাওয়ারগ্রিড ও পূবালী ব্যাংক।
এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭৪.৩৯ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল এই ১০টি কোম্পানি
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটির বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, আরও পাঁচটির বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, একটির বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি, আটটি ৬ শতাংশের বেশি, ১৩টির ৫ শতাংশের বেশি, ১৭টির বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি, ২৬টির বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
বিপরীতে যেসব কোম্পানি দর হারিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৬ শতাংশের ২টি, ৫ শতাংশের বেশি ৩টি, ৪ শতাংশের বেশি ৫টি, ৩ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে ১০টি কোম্পানি।
তবে উত্থানের এই দিনে এতদিন ক্রমাগতভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতন হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনে প্রায় ৩০ গুণ আয় বৃদ্ধির তথ্য জানানোর পর এই বিষয়টি কিছুটা বিস্মিত করেছে বিনিয়োগকারীদের। অবশ্য এটাও ঠিক, কোম্পানিটির শেয়ার দর গত দেড় বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ১৩ টাকা থেকে ১৮৭ টাকা পর্যন্ত ওঠে এই সময়ে। আর সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ১০ টাকার মতো কমেছে।
উত্থানের দিন সূচক টেনে ধরায় প্রধান ভূমিকায় রেনাটাকে দেখালেও আসলে এমনটি হয়নি। এই কোম্পানিটির শেয়ার দর কমলেও সেটি লভ্যাংশ সমন্বয়ের কারণে হয়েছে। কোম্পানিটি এবার শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১৪ টাকা নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে। এই হিসাবে শেয়ার দর যতটা সমন্বয় হতে পারত, হয়েছে তার চেয়ে কম।
রেকর্ড ডেটে সোমবার শেয়ার দর ছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা ১০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় করলে দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৩১১ টাকা। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৫ টাকা।
রেনাটার দরপতন হলেও সেটি হয়েছে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের কারণে। এই সমন্বয়ের পর দাম আসলে বেড়েছে
এই কোম্পানিটি বাদ দিলে সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো, সাইফ পাওয়ারটেক, ফরচুন সুজ, ইউনিক হোটেল, রেকিট বেনকিনজার, এনভয় টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ও জেএমআই সিরিঞ্জ সূচক টেনে ধরায় ভূমিকা রেখেছে।
এই ৯টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০.৬ পয়েন্ট।
ব্যাংক, আর্থিক ও বিমায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা
অনেকটা ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাতের এবি ব্যাংক মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি শেয়ারে যোগ হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। ৯.৯৩ শতাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধির মধ্যে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে পৌঁছেছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৮.৯১ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের বেড়েছে ৭.৬৯ শতাংশ।
জাপানি প্রতিষ্ঠান সফট ব্যাংকের কাছে বিকাশের শেয়ার বিক্রির ঘোষণায় ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ল টাকা চার কর্মদিবস। ৪৩ টাকা থেকে পৌঁছে গেছে ৬০ টাকার ঘরে। আজ বেড়েছে ৬.৩৭ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ার প্রতি এক টাকার কম যোগ হয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ১৯টি। আর ১ টাকা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত যোগ হয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ১০টি।
মঙ্গলবার দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি ছিল এনআরবিসি ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে দশমিক ৫৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার খাতওয়ারি সবচেয়ে ভালো দিন গেছে ব্যাংকে
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা আগের দিনও ছিল তিনশ কোটি টাকারও কম।
ব্যাংকের মতোই শেয়ারদর বেড়েছে আর্থিক খাতে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত। বেড়েছে বাকি সবগুলোর দর।
এই খাতের কোম্পানির সথ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বে লিজিংয়ের ৬.৯৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম শেয়ার দর বেড়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ১.৪৪ শতাংশ।
খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৯৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪০ কোটি টাকারও কম।
ব্যাংকের মতো বিমা খাতের শেয়ারের উত্থানে এতটা চমক ছিল না। তবে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর। তবে শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৬০ শতাংশ। সবচেয়ে কম বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর. দশমিক ১১ শতাংশ।
দর পতনের দিক দিয়ে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর কমেছে ৩.১০ শতাংশ।
এই খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ১১টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন খাতটিতে লেনদেন ছিল ৪৮ কোটি টাকার কম।
লেনদেনে এগিয়ে যে ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৮৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংক, যার মোট লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। হাত বদল হয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৬৮৮টি শেয়ার।
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, যার মোট লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
স্কয়ার গ্রুপের স্কয়ারফার্মা ছিলও লেনদেনে শীর্ষ দশে। ৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে চতুর্থ স্থানে ছিল কোম্পানিটি।
এছাড়া ওরিয়ান ফার্মা, জেনেক্সিল ইনফোসিস, এনআরবিসি ব্যাংক, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স ছিল লেনদেনের এই তালিকায়। যার লেনদেন ছিল ৪১ কোটি টাকা থেকে ৩৩ কোটি টাকা পর্যন্ত।
শীর্ষ ১০ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৬২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেন ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ৪১.৯৪ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এবি ব্যাংকের। আগের দিন শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা। একদিনে বাড়া সম্ভব ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। বেড়েছেও এই পরিমাণ।
তারপরই ছিল সদ্য লেনদেনে আসা একমি পেস্ট্রিসাইডসের শেয়ার। শেয়ার বিক্রিতে শেয়ারধারীদের আগ্রহ না থাকায় এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
বিমা খাতেও ব্যাংকের মতো বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। তবে লেনদেনে গতি আসেনি
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওরিয়ান ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে ছিল নতুন আরেক কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স। এই কোম্পানিটিরও দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। তবে এই দরে শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহ ছিল না বললেই চলে।
শী্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, যার দর বেড়েছে ৮.৯২ শতাংশ।
এছাড়া এ তালিকায় ছিল ইসলামী ব্যাংক, ওরিয়ান ইনফিউশন, ডেফোডিল কম্পিউটার, জাহিন স্পিনিং মিল ও আইএফআইসি ব্যাংক।
অর্থাৎ শীর্ষ দশে ব্যাংক খাতের কোম্পানিই সবচেয়ে বেশি তিনটি।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা ওটিসি ফেরত মনোস্পোল পেপারের দর কমেছে ৬.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৫৪ টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গত অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে অবিশ্বাস্য রকমের লোকসান দেয়া আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ পয়সা মুনাফা দেখানো ন্যাশনাল ফিড মিলস। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬.২২ শতাংশ। এছাড়া বেঙ্গল উইন্ডসরের দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ।
এছাড়া প্যাসিফিক ডেনিমের দর ৫.৭৩ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৫.১০ শতাংশ, ফাইন ফুডসের দর ৪.২৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের দর কমেছে ৪.১৬ শতাংশ।