বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১২:২৭

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য বুস্টার ডোজের চিন্তা করছে সরকার। তবে বেশির ভাগ মানুষকে দুই ডোজ দেয়া হয়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হবে। অনেক দেশ বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। আমরাও দেব।’

দেশের বেশির ভাগ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর সবার জন্য বুস্টার ডোজের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বললেন, ওই পর্বে অগ্রাধিকার পাবেন ঝুঁকিপূর্ণরা।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মঙ্গলবার সকালে সৌদি বাদশাহ সালমান ফাউন্ডেশনের দেয়া ১৫ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ অনুষ্ঠানে সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সবার জন্য বুস্টার ডোজের চিন্তা করছে সরকার। তবে বেশির ভাগ মানুষকে দুই ডোজ দেয়া হয়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হবে। অনেক দেশ বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। আমরাও দেব।’

বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষকে দেয়া হচ্ছে চীনের সিনোফার্মের উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভি টিকা। এ টিকায় এখনও অনুমোদন দেয়নি সৌদি সরকার। ফলে এই টিকা নিয়ে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসীদের।

এ সমস্যা সমাধানে সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব বর্তমানে মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন করছে। সে জন্য বাংলাদেশ থেকে সিনোফার্মা বা সিনোভেক টিকা নিয়ে গেলে সেখানে কোয়ারেন্টিন করতে হয়।

‘এ বিষয়ে আজও আমি কথা বলেছি। তাদের বলেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া সব টিকা অনুমোদন দিতে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে যতদিন এটা অনুমোদন না হবে, ততদিন তাদের আইন মানতে হবে।’

সৌদি সরকার বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনেও সহায়তা করতে চায় বলে জানালেন জাহিদ মালেক। বলেন, ‘আজও সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ও টিকা উৎপাদনে সহায়তা করতে চায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন শুরু করতে চায়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৫ লাখ টিকা পাচ্ছি। সঙ্গে কিছু মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টও এসেছে। আমরা এখন প্রতিদিন ১৫ লাখ টিকা দিচ্ছি। ২১ কোটি ডোজ টিকা কিনেছি।

‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় সবাইকে দেয়া হয়ে আসছে। এ জন্য মৃত্যুর হার এক ডিজিটে নেমে আসছে। অচিরেই এটা শূন্যে নেমে আসবে। আমরা শিক্ষার্থীদেরও টিকা দিচ্ছি। আজ কড়াইল বস্তিতেও টিকা দেয়া শুরু হলো। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।’

করোনা মোকাবিলায় সৌদি সরকারের সহায়তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, ১৫ লাখ টিকা সস্পূর্ণ বিনা পয়সায় উপহার হিসেবে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে এক লাখ ডলারের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।

‘১৩৫ দেশের আগে আমরা করোনা টিকা দেয়া শুরু করেছি। আমরা ২১ কোটি টিকা পয়সা দিয়ে কিনেছি। ৯ কোটি উপহার হিসেবে পেয়েছি।’

বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ আল দোহাইলি বলেন, ‘করোনা বৈশ্বিক সংকট। এই মহামারির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে লড়তে হবে। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সৌদি সরকারের এই উপহার।

‘টিকার নিয়ম সকল দেশের জন্য সমান প্রযোজ্য। চীনের ভ্যাকসিন সৌদি আরবে অনুমোদনের বিষয়টি সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এটা সময় সাপেক্ষ।’

এ বিভাগের আরো খবর