চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে বোমাসদৃশ বস্তু রেখে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা ওই কাজ করেছেন বলে দাবি ওই ইউপি সদস্যের।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মুনতাজ আলীর বাড়ির ফটকের সামনে থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বস্তুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হারদি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মুনতাজ আলী জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে কুয়াশার মধ্যে দেখতে না পেয়ে ওসমানপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে শিমুল ইসলামকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেলচালক আবু সাইফের বাড়ি হারদি গ্রামে।
এতে শিমুলের ডান পা ভেঙে যায়। দুই পায়ে আঘাত লাগে মোটরসাইকেলচালক সাইফের। তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করা হয়।
সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শিমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আর সাইফকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মুনতাজ আলী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় সাইফের মোটরসাইকেলটি ভেঙে যায়। আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ায় মোটরসাইকেলটি আমার হেফাজতে দেন স্থানীয়রা। ওই রাতে আহত শিমুলের ভাই রাহাত আলী, মেজো চাচা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, তার ছেলে সোহাগ, ছোট ভাই ফারুক হোসেন, একই গ্রামের নুর ইসলামসহ ৬-৭ জন আমাদের বাড়ি এসে মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
‘তারা মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে ফেলার কথা বললে আমি বাধা দিই। একপর্যায়ে আমার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে হুমকি দিয়ে চলে যান তারা। পরে মোটরসাইকেলটি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।’
ইউপি সদস্য মুনতাজ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ওই ঘটনার পর কোনো এক সময় আমাদের বাড়ির গেটের সামনে একটি বোমাসদৃশ বস্তু রেখে যান তারা। সকালে বাজারে যাওয়ার সময় আমার বাবা সেটি দেখে পুলিশে খবর দেন। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ওসমানপুর ক্যাম্পের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, ওটা কোনো বোমা নয়। ভেতরে কিছু ছিল না। মূলত একটি জর্দার কৌটায় লাল টেপ জড়িয়ে ফেলে রাখা ছিল। মূলত আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখনও ওই বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।