গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি কেটে গিয়ে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত মেহেরপুর। বাড়ছে শীতও। কেউ কেউ খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মেহেরপুরে পড়তে শুরু করেছে ঘন কুয়াশা। মঙ্গলবার সকালে কুয়াশার মাত্রা আরও বাড়ে।
শীত নিবারণে আগুন পোহানোর পাশাপাশি গরম কাপড় চাদর, সোয়েটার, টুপি কিংবা কম্বল পরতে দেখা গেছে অনেককে।
ঘন কুয়াশার কারণে কমে এসেছে দৃষ্টি সীমা। তাই সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলছে লাইট জ্বালিয়ে।
ড্রাম ট্রাকচালক টগর আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সেই মাঝরাতে বালুর ঘাটে বালু আনার জন্য গিয়েছি। ঘাট থেকে যেখানে মেহেরপুরে আসতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। ঘন কুয়াশার কারণে সেই জায়গায় সময় লাগলো আড়াই ঘণ্টা। রোডে কোনো জ্যাম ছিল না। যেহেতু আমাদের ভারি গাড়ি তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে আসা লাগছে কুয়াশার কারণে। সময় বেশি লাগায় আমাদের অনেক ট্রিপ মিস হয়ে যায়।’
সিএনজি চালক মো. রকিবুল বলেন, ‘আমারা সেই কাক ডাকা ভোরে স্ট্যান্ডে আসি। অনেকে কুষ্টিয়ায় যায় হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে। তাদের তাড়া থাকে। অথচ ঘন কুয়াশার কারণে সামনের গাড়িও অনেক সময় দেখা যায় না। যার ফলে রোডে চলতে হয় প্রাণ হাতে করে।’
মেহেরপুর সড়কের বাসচালক মো. শফি বলেন, ‘বতর্মানে রোডে বৈধ অবৈধ গাড়ির সংখ্যা বেশি। সড়ক অনেক বিজি থাকে। আর এখন কুয়াশার সময় শুরু হলো। ১০ হাত দূরের জিনিসও দেখা যাবে না। আমরা যারা ড্রাইভার তারা এখন বেশ বিপদে থাকব। ঘন কুয়াশায় সড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। আর দুর্ঘটনা হলেই সব দোষ হয় চলকের। বাস্তবতা কেউ দেখে না।’
এদিকে সকাল ৮টা পযর্ন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।