বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ দুই প্রার্থীর

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:৫২

মুখলেসুর রহমান দাবি করেন, নির্বাচনে তিনি অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন। দশটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের দেয়া ফলাফল শিট অনুযায়ী তিনি পেয়েছিলেন ৭ হাজার ২২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম টুলু পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৩৪৬ ভোট। তিনি ৬৭৬ ভোটে জিতেছিলেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল যাওয়ার পর তিনি সেটি ঘোষণা দিতে গড়িমসি করেন। গভীর রাতে ফল পাল্টে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ও রিশিকুল ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট গণনার পর ফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ করেছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এরা হলেন গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের হযরত আলী ও রিশিকুল ইউনিয়নের মুখলেসুর রহমান মুকুল। হযরত আলী গোগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যদিকে মুখলেসুর রহমান মুকুল রিশিকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তারা। এর আগে জেলা প্রশাসক ও জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকতার কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই দুই প্রার্থী।

১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দুজনেই ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেসুর রহমান দাবি করেন, নির্বাচনে তিনি অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন। দশটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের দেয়া ফলাফল শিট অনুযায়ী তিনি পেয়েছিলেন ৭ হাজার ২২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম টুলু পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৩৪৬ ভোট। তিনি ৬৭৬ ভোটে জিতেছিলেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল যাওয়ার পর তিনি সেটি ঘোষণা দিতে গড়িমসি করেন। গভীর রাতে ফল পাল্টে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী। ছবি: নিউজবাংলা

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী দাবি করেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের দেয়া ফলাফল শিট অনুযায়ী ১০টি কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৮০১ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী মজিবর রহমান পেয়েছিলেন ৯ হাজার ২৮৭ ভোট। তিনি ৫১৪ ভোট বেশি পেয়ে জিতে যান। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারও ফলাফল ঘোষণায় গড়িমসি করা হয়। শেষে গভীর রাতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসাররা রাতেই আমাদের একটা ফলাফল শিট দেন। আবার প্রার্থীরাও একটা শিট আনেন। তখন দেখা যায় দুজনের ফলাফল শিট এক নয়। তাই প্রিজাইডিং অফিসারকে রাতে আবার ডেকে এনে যাচাই করা হয়। এরপর ফল ঘোষণা করা হয়। ফল পাল্টানোর অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর