গাইবান্ধার সদ্য বিজয়ী ইউপি সদস্য আবদুর রউফ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের আদালতে সোমবার সন্ধ্যার দিকে আরিফ মিয়া এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সদর থানা থেকে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের খাসকামরায় দীর্ঘ সময় ধরে আসামি আরিফ ইউপি সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তিতে আসামি আরিফ মিয়া জানান, পূর্ব থেকেই পারিবারিক বিষয়ে রউফ মাস্টারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। সেই জেরে ও ক্ষোভে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আরিফ মিয়াকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম।
পরে পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে আরিফ মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আব্দুর রউফ।
এর আগে শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাঁচপীর গ্রাম থেকে আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৩।
আসামি আরিফ মিয়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের বাসিন্দা।
গত ১২ নভেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবদুর রউফকে কুপিয়ে জখম করেন আরিফ। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সদর থানায় নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরিফ মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন আবদুর রউফ মাস্টার।