বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমিরাতে আরও কর্মী নেয়ার আহবান অর্থমন্ত্রীর  

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৮

দুই দেশের যৌথ কমিশনের (জেইসি) পঞ্চম সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশ থেকে করোনার টিকা আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বলেছে, যদি যৌথভাবে বাংলাদেশে করোনার টিকা উৎপাদন করা যায়, তা হলে ভেবে দেখা যেতে পারে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার আহবান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ কমিশনের (জেইসি) পঞ্চম সভায় এ আহবান জানান অর্থমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল এই সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অপরপক্ষে, ইউএই-এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী-আল সাইয়ে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওয়ার্ক পারমিটের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলে হ্যাঁ বা না কোনো কিছুই বলেনি ইউএই প্রতিমন্ত্রী।

এ ছাড়া রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দাবি জানালে কোনো জবাব মেলেনি।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশ থেকে করোনার টিকা আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বলেছে, যদি যৌথভাবে বাংলাদেশে করোনার টিকা উৎপাদন করা যায়, তা হলে ভেবে দেখা যেতে পারে।

যৌথ কমিশন সভায় উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন নানান বিষয় পর্যালোচনা করে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়।

দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য আমিরাতের প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে বড় অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, চিকিৎসা সেবায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোক্তারা ইচ্ছা করলে ওই সব খাতে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।

সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমিরাতে ৫০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন খাতে মর্যদা সঙ্গে কাজ করছে। সেখানে পেশাদার, দক্ষ, আধা-দক্ষ এবং অ-দক্ষ জনশক্তির এখনও প্রচুর চাহিদা আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার চাইলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল জনশক্তি নিতে পারে।

সভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশ একই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।

১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়। উভয় সরকারই সেই পথ অনুসরণ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা কাজে লাগাতে আগ্রহী।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার আগে গত এক দশক গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনের ফলে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। আশা করা যায়, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছে, তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য।

সভায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যে ১২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়, সেগুলো হচ্ছে: দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও কনস্যুলার, বেসরকারি বিমান চলাচল, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগ, আবুধাবি উন্নয়ন ফান্ড, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাত, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত, সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা খাত এবং মানবিক ও দাতব্য সহায়তা সংক্রান্ত সহযোগিতা।

দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর একটি ‘সম্মত কার্যবিবরণী’ স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তী যৌথ কমিশনের সভা হবে আবুধাবিতে।

এ বিভাগের আরো খবর