বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্রুত পিটিএ শেষ করতে চায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৩

পারস্পরিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যেই সোমবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হন।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ‘অগ্রাধিকার মূলক বাজার সুবিধা’ (পিটিএ) চুক্তি দ্রুত সাক্ষরের বিষয়ে একমত হয়েছে ঢাকা ও কলম্বো।

সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক গামিনী লক্ষ্মণ পিরিস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এই বৈঠক হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে দুই নেতা দ্রুত পিটিএ শেষ করা এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তারা দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য আকাশ ও সামুদ্রিক যোগাযোগ আরও বাড়ানোর বিষয়েও একমত হন।

শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে ই-কমার্স ও ডিজিটাল সেক্টরে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কাকে ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান।

এ সময় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আইওরা কাউন্সিল অফ মিনিস্টারস’-এর ২১তম বৈঠকে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার জন্য শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ; যা ঐতিহাসিক যোগসূত্র, বন্ধুত্ব এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে চমৎকার দৃষ্টান্ত।’

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ঢাকা সফরের কথা স্মরণ করেন।

শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সদ্য শেষ হওয়া ‘কপ ২৬’-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস সামিটের সাইডলাইনে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি হেগোতাবায়া রাজাপাকসে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও স্মরণ করেন।

তিনি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, সংযোগ, কৃষি, মৎস্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মতো খাতে আরও সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

উভয় মন্ত্রী আইওআর-এর অধীনে চলমান সহযোগিতা, সামুদ্রিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নীল অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক সম্পদের অতিরিক্ত শোষণ রোধের বিষয়েও কথা বলেন।

এ বিভাগের আরো খবর