বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই নারী ইউপি চেয়ারম্যান পেল নওগাঁ

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১৮

দ্বিতীয় দফায় নওগাঁ সদর ও রাণীনগর উপজেলার ২০ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে নওগাঁ সদরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নে আফেলাতুন নেছা এবং রানীনগরের খট্টেস্বর ইউনিয়নের চন্দনা শারমিন রুমকি চেয়ারম্যান হয়েছেন।

চন্দনা শারমিন রুমকি ছিলেন গৃহিণী আর আফেলাতুন নেছা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য। তারা এবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় নওগাঁ সদর ও রাণীনগর উপজেলার ২০ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে নওগাঁ সদরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নে আফেলাতুন নেছা এবং রাণীনগরের খট্টেস্বর ইউনিয়নের চন্দনা শারমিন রুমকি চেয়ারম্যান হয়েছেন।

আফেলাতুন এর আগে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর মহিলা ওয়ার্ডে সাতবার মেম্বার নির্বাচিত হন। এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ষাটোর্ধ্ব আফেলাতুন নেছা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত। বর্তমানে তিনি নওগাঁ সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মকর্তা তমিজ উদ্দিন প্রামাণিকের স্ত্রী আফেলাতুন নেছার তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

১৯৭২ সাল থেকে তিনি তৃণমূলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কয়েকবার তিনি ভোটে পরাজিত হলেও মানুষের পাশে থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননি।

আফেলাতুন নেছা বলেন, ‘আমার মতো সাধারণ মানুষকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়ার কারণেই আজ চেয়ারম্যান হতে পেরেছি। এ জন্য ইউনিয়নবাসী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জকে গতিশীল করতে কাজ করে যাব। এ ছাড়া বাল্যবিয়ে রোধ ও ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে বোয়ালিয়াকে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।’

রাণীনগরের খট্টেস্বর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে গৃহবধূ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রুমকি।

উপজেলা যুবলীগের প্রয়াত নেতা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রুমকি। মোস্তফার বড় ভাই স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল। দুই মেয়ে নিয়ে রুমকির সংসার।

গোলাম মোস্তফা দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে আসেন রুমকি।

নির্বাচনে খট্টেশ্বর ইউপি নির্বাচনে রুমকি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেনকে ১০ হাজার ৩৪২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ী হন।

রুমকি বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। ইউনিয়নবাসী আমার স্বামীকে ভালোবেসে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা রাখি, নতুন পথচলায় সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা পাব। এই ইউনিয়নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি ডিজিটাল ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দিতে কাজ করতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর