বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুকুকে এলাকা ছাড়তে রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১১

রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পর্যায়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে এই বিধান মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

পাবনা বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে এলাকা ছেড়ে যেতে ১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে অনুরোধ জানিয়েছে চিঠি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি দেয়া হয়েছে।

জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহবুবুর রহমান এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পর্যায়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে এই বিধান মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে টুকু বলেন, ‘নির্বাচন বিধান সম্পর্কে আমি অবহিত। আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি, করার ইচ্ছেও নেই।’

তবে এলাকা ছেড়ে যাবেন কি না তা তিনি জানাননি।

পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের থেকে মেয়র পদে লড়ছেন এমপি টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, টুকুর ছোট ছেলে নাসিফ শামস রনি বেড়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে বড় ভাই রঞ্জনকে বিজয়ী করতে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর ঘটনাসহ টুকু ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা, বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা।

এই পরিবার থেকে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন টুকুর বড় ছেলে রঞ্জনসহ তিনজন। অন্য দুজন হলেন টুকুর ছোট ভাই ও বর্তমান পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন ও টুকুর বড় ভাইয়ের মেয়ে এস এম সাদিয়া আলম।

বেড়ার মেয়র হতে লড়ছেন এমপি টুকুর ভাই আব্দুল বাতেন (বাঁম থেকে), টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন ও টুকুর ভাতিঝি এস এম সাদিয়া আলম

সম্প্রতি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হয়ে পৌর নির্বাচনে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি।

টুকুকে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন তার ভাতিঝি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিয়া।

আব্দুল বাতেন অভিযোগ করেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রোববার বিকালে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্প বসানো হয়েছে। দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শামসুল হক টুকু এমপির উপস্থিতিতেই প্রকাশ্য সভায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী রমজান, ময়ছের, হাকিম বস, হান্নান নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। ঝামেলা বাঁধাতেই আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামনে নির্বাচনি প্রচার অফিস স্থাপন করেছেন রঞ্জন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে তার কোনো অবস্থান নেই বলে জামায়াত বিএনপির ভোট ভিক্ষা করছেন তারা।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিয়া আলম বলেন, ‘আমার কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনি মাঠে নামতেই দেয়া হচ্ছে না। নামলেই বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি বা শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। বেড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের জন্য সাংসদ টুকু ও তার পুত্রদের কোনো অবদান নেই। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে লাভ হবে না। জনগন দূর্নীতির বিরুদ্ধে ও পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিবেন।’

এসব বিষয়ে নৌকার প্রার্থী ও টুকুপুত্র আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, ‘আমার চাচা আব্দুল বাতেন দূর্নীতি-অনিয়মে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের লালন করেন। অপকর্মের কারণে দল তাকে মনোনয়ন দেননি। নৌকার বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে কোনো রক্তের সম্পর্ক থাকতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর