লালমনিরহাটের আদিতমারীর বিভিন্ন জায়াগায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬২ জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তৌফিক আহমেদ বলেন, ৬২ জন রোগী এক সঙ্গে ভর্তি হন। তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় নারী ও পুরুষ ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এরই মধ্যে কয়েকজন বাড়ি ফিরে গেছেন।
আদিতমারী উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদে বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগে পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি আহত হন।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ৭২ ঘণ্টায় নির্বাচনি সহিংসতায় আহত হয়ে হাসপাতালে ৬২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৮ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত রাজিয়া বেওয়া বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে বগ মার্কার লোকজন আমার নাতিকে মারতে ধরে। আমরা নাকি তাদের প্রার্থীদের ভোট দেই নাই। আমরা বলতেছি, তোমাদেরই ভোট দিয়েছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস না করে, পিটাতে থাকে আমার নাতি ও ছেলেকে। আমি আগাতে গেলে আমাকেও চুল ধরে মাটিতে ফেলে মারা শুরু করে। আমি আর কিছুই কবার পাই না। পরে দেখি হাসপাতালে ভর্তি করছে।’
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধে আদিতমারী থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছে। সুষ্ঠু বিচার চেয়ে থানায় লিখিত দিয়েছেন হামলায় আহত কয়েকজন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, নির্বাচনি সহিংসতা ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪টি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এসব ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।